একজন হিন্দু ব্লগারের ইসলাম নিয়ে কৌতুহলী কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ০৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:৪৪:০৮ দুপুর



তিনি ইমেইল করে বলেছেন, সম্ভব হলে ইসলাম সম্পর্কিত এসব কঠিন প্রশ্নের উত্তর দিতে। স্থান হল হয়ত ব্লগ নয়ত ফেসবুক। তার উত্তর দিতে গিয়ে অনেকে উল্টো পাল্টা মন্তব্য করে বসেছেন। কেউ বাজে মন্তব্য করতেও ছাড়েন নি! এটা ঠিক নয়, অনুচিত। ফেসবুকে আমি পারদর্শী নই তাই ব্লগে উত্তর গুলো প্রকাশ করলাম। মন্তব্যের জন্য তাঁকে এই লিঙ্কটি পড়তে পাঠাব। উপস্থিত মন্তব্য পড়ে আমি উত্তর গুলো দিয়েছি, বাক্য ও শব্দ গুলো পুনঃ দেখার সুযোগ পাইনি। তাঁর প্রশ্ন গুলো সেভাবেই রয়েছে, যেভাবে তিনি করেছেন। উৎসাহী ব্লগারেরা আপনাদের উত্তর যোগ করতে পারেন। অনাকাঙ্ক্ষীত মন্তব্য অবশ্য বর্জনীয়।

প্রশ্ন: ১.

আমরা জানি নবীজীর বহুবিবাহের কথা, তার মধ্যে সবচেয়ে মর্মান্তিক হল,আয়েশা, যাকে ৬ বছর বয়সে বিবাহ করেছিলেন!! ৯ বছর বয়সেবাসর করছিলেন! তাহলে এর দ্বারা কি বুঝা যায়, ৯ বছরের শিশুর সাথে যৌনতা! এটা কি শিশু ধর্ষণের প্ররোচনা দেয় না??


উত্তর: যৌনতা আর বিয়ে এক জিনিষ নয়।

বিয়ে: বিয়ে করলে স্ত্রীর ভরণ-পোষণ, নিরাপত্তা, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, সন্তানের দায়িত্ব এবং ইসলামী আইনে সেই সন্তানকে সম্পদের উত্তরাধিকারী করতে হয়।

যৌনতা: যৌনতা নারী-পুরুষ দুই জনের স্ব-ইচ্ছায় যৌন মিলনের মাধ্যমে করা হয়। যৌনতার সকল দায় দায়িত্ব নারীর একার। পুরুষ তার চিকিৎসা, নিরাপত্তা, বস্ত্র, বাসস্থান, সন্তানের দায়িত্ব সহ উপরের বর্ণিত কোনটাই নেয়না।

ইসলাম যৌনতাকে নিষেধ করেছে, তবে বিয়ে করতে উৎসাহ দিয়েছে, প্রয়োজনে বহু বিয়ে করো, তারপরও যৌনতা নয়। আরব দেশে নয় বছরের আগেই কিশোরীরা ঋতু-বর্তী হয়। পাঁচ বছর বয়স থেকে পঞ্চাশ বছর যে বয়সেরই হোক না কেন, একাকী নারীরা পুরুষের কাছে নিরাপদ নয়। নারীরা বিয়ের মাধ্যমেই পুরুষের কাছে নিরাপদ থাকে। রাসুল (সাঃ) কোন বয়সে বিয়ে করেছিলেন সেটা বিবেচ্য নয়, বিবেচ্য হল তিনি তার নবুবধু ঋতু-বর্তী হবার পরই মিলিত হয়েছিলেন। তার মৃত্যু অবধি সেই স্ত্রী সাথে তাঁর সাথে ছিল, পরবর্তীতে সেই স্ত্রী দীর্ঘ বছর বেঁচে থাকেন, তিনি আবার বিয়ে করেন নি, তাছাড়া সেই স্ত্রী তাঁর দাম্পত্য জীবন নিয়ে কোন অনুশোচনা করেন নি।

সুতরাং কিশোরী স্ত্রী হয়ে যা তিনি করেন নি, সেটা নিয়ে অন্যের ব্যক্তিগত দুঃচিন্তা হলে হতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞান-ভগবান যাই বলি না কেন, বিজ্ঞান স্বীকৃতি দিয়েছে যে, পাঁচ বছর বয়সেও কন্যারা গর্ভবতী হতে পারে এবং সে গর্ভবতী হয়েছিল নিজ পিতার হাতেই! (নীচে লিঙ্ক দিলাম) ইসলাম আইন করে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে দোষ হয়েছে কিন্তু গবেষনায় দেখা গেছে ছোট্ট কিশোরীরা তার চাচা, মামা সহ কাছের আপন জনের মাধ্যমে বেশী উৎপীড়িত হয়। অন্যদের বেলায় তো কথাই নেই। শিশু হোক আর বৃদ্ধা হোক কাউকে কন্যা বানিয়ে, কাউকে মা বানিয়ে একত্রে এর কক্ষে থাকতে অনুমতি ইসলাম কাউকে দেয়নি। যতক্ষন না সে নারী তার ঘোষিত স্ত্রী না হয়।

সুতরাং রাসুল (সাঃ) কিশোরী বিয়ে করে ভুল করেন নাই, অ-বৈজ্ঞানিক ও নয়, অধর্মের কাজ নয় তিনি ঠিক করেছিলেন এবং উম্মতকে সেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন।


প্রশ্ন: ২.

মুসলমানরা বলে যে, নাস্তিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্টান, ইহুদী এরা শয়তানের সৃষ্টি, এরা মুলত কাফের মুশরিক ইত্যাদি, ইত্যাদি! আমরা দেখছি যে, কাফের নাস্তিক এবং মুসলমানের মধ্যে দৈহিক গঠন ও কার্যবিধি একই রকম, প্রশ্ন হল আল্লাহ সৃষ্টি মুসলমান আর শয়তানের সৃষ্টি কাফের ইহুদীকিভাবে একই রকম হতে পারে? আল্লাহ আর শয়তানের সৃষ্টিতেকি পার্থক্য থাকল??


উত্তর: কাফের, মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ এগুলো কোন গালির নাম নয় এমনকি এগুলো কোন দৈহিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় ও নয়। এগুলো হল মানুষের চরিত্রের নাম তথা ইসলামের পরিভাষা। যেমন কাফের অর্থ ‘অস্বীকার-কারী’, মুশরিক অর্থ ‘অংশীদার-কারী’, ‘নাসারা’ অর্থ সাহায্যকারী, ‘মুসলিম’ অর্থ আনুগত্যা কারী ইত্যাদি। অনেকে এসব পরিভাষার অর্থ না বুঝে এগুলোকে একপ্রকার গালি মনে করে আর ইসলাম বিরোধীরা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝায়।

ইসলাম কখনও ব্যক্তির সমালোচনা করেনা, ইসলাম সর্বদা ব্যক্তির চরিত্রের কথা বলে। শয়তান শুধু মুসলমানের দুষমন নয় সে পুরা মানব জাতির দুষমন। সে মানুষের উপর জোড় খাটাতে পারেনা তবে সে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে। মানুষের মনে জেদ, গোঁড়ামি, অহংকার, উগ্রতা, হঠকারিতা, হিংসা, বিদ্বেষের আগুনকে উস্কে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে, পথভ্রষ্ট করে। মানুষ ইচ্ছে করলে আল্লাহর দেখানো পন্থায় এসব কাজ থেকে বেঁচে থাকতে পারে। মুসলমানেরা ইসলামের আদেশ নিষেধ মানতে বাধ্য কেননা সে আনুগত্য করেছে। যে মানতে অস্বীকার করে সে কাফির কেননা সে বিরোধিতা করেছে। কেউ আল্লাহর কথাও মেনেছে আবার শয়তানের উৎসাহ দেওয়া কাজও করেছে, সে মুশরিক কেননা সে দুটোকেই বিশ্বাস করেছে এবং কাজে পরিণত করেছে। মূলত মুসলমনা দের মাঝেই অগণিত মুশরিকের অবস্থান।


প্রশ্ন: ৩.

খাইবারের একজন ইহুদী নারী কর্তৃক বিষপানেরফলেনবী মুহম্মদ বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন পরে সে দির্ঘদিন বিষযন্ত্রনায় ভুগতে ভুগতে মারা যান, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৬৩ বছর,, তাহলে প্রশ্ন হল, এত অলৌকিক ক্ষমতা থাকার পরও নবী কেন বুঝতে পারল না যে, পাত্রে বিষ আছে ??


উত্তর: এই ঘটনা সত্য তবে ব্যাখা ভুল। ইহুদী বৃদ্ধা যখন বিষ মিশ্রিত খাদ্য নিয়ে আসেন তখন রাসুল (সাঃ) হেঁসে ফেলেন। কেননা জিব্রাইল (আঃ) নামের ফেরেশতা এসেই প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করে বলে দিলেন যে, আপনি ‘বিসমিল্লাহ’ বলে বুড়ির সামনেই খাদ্যগুলো খেয়ে ফেলুন। বুড়িকে দাঁড় করিয়ে রেখেই তিনি তার সামনে খাদ্য খেয়ে নেন। তারপর বুড়িকে বলেন, দেখ তোমার বিষ মিশ্রিত খাদ্য খেয়ে আমি মরি নি! কেননা যে আল্লাহ মৃত্যু দেন তিনিই বলে দিয়েছেন যে, ‘বিসমিল্লাহ’ বলে খেয়ে নিতে।

পরে বুড়ি মাপ চেয়ে বলেন, তিনি ইহুদী ধর্মগ্রন্থ ‘তৌরাত’ কিতাবে পড়েছিলেন সেই আগত নবী স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুবরণ করবেন। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, তিনি যদি বিষ মিশ্রিত খাদ্য খেয়ে মরে যান তাহলে তিনি সেই প্রত্যাশিত নবী নন, যদি বেঁচে যান তাহলে তিনিই প্রকৃত নবী! বুড়ী সাথে সাথেই ইসলাম গ্রহণ করেন। ঘটনাটি রাসুল (সাঃ) ৬৩ বছর বয়সে নয় এমনকি মৃত্যুর অনেক আগের ঘটনা। রাসুল (সাঃ) বিষক্রিয়ায় মৃত্যু বরণ করেন নি, তিনি স্বাভাবিক ভাবেই ইন্তেকাল করেছেন।


প্রশ্ন: ৪.

শুকর প্রসঙ্গ!! কোরআনে শুয়োর হারাম করা হয়েছে! কারন, শুয়োর নোংরা, এরমাংস বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে, মস্তিক বিকৃতি, খোস, পাঁচড়া, চর্মরোগের সৃষ্টি করে! যদি, শুয়োর এতই খারাপ হয়, তাহলে ইহুদী, খিস্টানরা এটা খাওয়ার পরও তাদের যৌনতা হ্রাস পায় না, কিংবা মেধার ওপর প্রভাব পড়ে না কেন, বরং বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় তাদের অক্ষুন্ন অবদান! এটা কিভাবে সম্ভব?? আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ বস্তু খেয়ে এত পাওয়ার কোথা থেকে আসে?


উত্তর: শুকরকে হারাম করা হয়নি, দুনিয়াতে তার প্রয়োজন আছে বলে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে! প্রকৃত কথা হল শুকরের গোশতকে ‘হারাম’ করা হয়েছে। প্রশ্ন কর্তা কোরআনের কথা বলে একটি কারণও উল্লেখ করেছে! এটি প্রশ্ন কর্তার কথা, তবে কোরআন-হাদিসে শুকরের গোশত হারামের কারণ বলে কোন ধরনের ব্যাখা নাই!

আল্লাহ যা হারাম করেছে, মুসলমানের তা বিনাবাক্য ব্যয়ে মেনে নিতে বাধ্য। মুসলমানেরা বিশ্বাস করে যে, ‘আল্লাহ যেটা হারাম করেছে সেটাতে নিশ্চয়ই অকল্যাণ রয়েছে’। প্রাণীর রক্ত খাওয়া হারাম, আল্লাহর নামে জবেহ না হলে সেটা পবিত্র হলেও হারাম, ঘুষ হারাম, সুদ হারাম, খুন হারাম, মা-দাদীকে বিয়ে করা হারাম। আরও বহু হারাম আছে। এগুলো কেন হারাম সে ব্যাখ্যা কেউ দেয়না, কেউ চায়না। কেননা সেটা আল্লাহ প্রদত্ত সীমা।

তবে কিছু উৎসাহী মানুষ আছে, যারা চিন্তা ভাবনা করে এই মানদণ্ডে যে, আল্লাহ যেটা হারাম করেছেন সেটাতে মানুষের অকল্যাণ আছে, তাই তারা নিজেরা উৎসাহী হয়ে চিন্তা-ভাবনা-ব্যাখ্যা করে ও দেখতে চেষ্টা করেন যে সমস্যা কোথায়? বিজ্ঞান শুকরের গোশতের বহু সমস্যা ইতিমধ্যে উৎঘাটন করেছে, যেগুলো অনেক চিত্তাকর্ষক।

শুকরের পেটে জীবাণু বহন করার জন্য আলাদা একটি থলেই থাকে, শুকর কারো সংস্পর্শে আসলেই এসব জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। শুকরের গোশতে প্রচুর পরিমাণ ফিতা কৃমি থাকে। এসব কৃমি ২৬ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। তার মাথা ব্লেডের মত ধারাল, ফলে সে প্রাণীর পেট, অন্ত্র, কলিজা, অম্লানয়, ফুসফুস সহ সকল যাবতীয় অঙ্গ ভেদ করে ছুটতে থাকে। এমনকি চোখ কেটে বাহিরে বের হয়ে পড়ে! ফিতা কৃমি কাটা পড়লে দুটি কৃমির সৃষ্টি হয় এভাবে যত কাটা যাবে ততটি নতুন ফিতার সৃষ্টি হবে। শুকরের গোশতের কোন একটি টুকরা কেউ খেলে তার দেহেও ফিতা কৃমি ছড়িয়ে পড়বে। বলা বাহুল্য চুলার আগুনের গরমে গোশত ঝলসে গেলেও ফিতা কৃমি ঠিকই বেঁচে থাকে, পেটে গেলেই সে সতেজ হয় উঠে। কারো পেটে একবার ফিতা ঢুকলে না মরা পর্যন্ত তার রেহাই নাই। কেননা ফিতা বের করতে হলে তার পুরো শরীরকে টুকরা টুকরা করে অপারেশন করতে হবে। পাহাড়ি মানুষ আকৃতিতে খাটো হবার একমাত্র কারণই হল এই ফিতাকৃমি সহ অন্যান্য কৃমির উপদ্রব। আরও বহু বহু উদ্ভট তথ্য রয়েছে বিজ্ঞানের থলেতে।

এসব বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে, মুসলমানেরা এসব তথ্য গ্রহণ করে সান্ত্বনা পেয়েছে এই বলে যে, আল্লাহ যা হারাম করেছে তা তার কল্যাণের জন্যই করেছে। শুকরের গোশতে খেলে হয়ত সাথে সাথে মানুষ মরেনা, তবে উপরে বর্ণিত শুকরের যে গুনাগুণ বর্ণনা করা হল, তা কি জ্ঞানবান, সচেতন, ভদ্র মানুষ জেনে বুঝে গ্রহণ করতে পারে! গ্রহণ করলে করুক, তাতে অন্যের কিছু আসে যায় না। কেননা কিছু হঠকারী মানুষ এমন আছে, যারা গোঁ ধরে এভাবে যে, ‘ইসলাম মদ পান করতে মানা করেছে আমি পান করবই, কুকুর পালন করতে মানা করেছ আমি তাকে বুকে তুলে নিবই, শুকর খেতে নিষেধ করেছে সুতরাং পুরা জীবন শুকরের গোশত খেতেই থাকব, তাতে আমার শরীরের যত ক্ষতিই হোক’।



প্রশ্ন: ৫.

অতএব, যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেব এই দুনিয়াতে এবং তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না।(কোরান ৩:৫৬) তাহলে কাফেররা, বর্তমানে ধন সম্পদে শক্তিকে এত বলিয়ান কেন? আল্লাহর বাণী কি এখানে মিথ্যা নয়? সয়ং সৌদিকেই নিয়ন্ত্রণ করছে আমেরিকা? তাহলে কি আল্লাহ মুসলিমদের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন??


উত্তর: প্রথমে কোরআনের নামে ভুল উদ্ধৃতি দিয়েছেন, সেখানে বলা হয়েছে,

‘আর যারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদের জন্য তো জাহান্নামের প্রজ্বলিত আগুনই যথেষ্ট ৷ যারা আমার আয়াতগুলো মেনে নিতে অস্বীকার করেছে তাদেরকে আমি নিশ্চিতভাবেই আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করবো....... আল্লাহ বিপুল ক্ষমতার অধিকারী এবং তিনি নিজের ফায়সালাগুলো বাস্তবায়নের কৌশল খুব ভালোভাবেই জানেন'।

এই আয়াতের কোথাও দুনিয়াতে শাস্তি দিবে এমন কোন ঘোষণা নাই, ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে ভুল ব্যাখা করাও তো সত্য উপলব্ধি থেকে দুরের থাকার নামান্তর। যাক, কোরআনে এমন কোথাও দাবী করে নাই যে, মুসলমান হলে তোমরা ধন-দৌলতে ধনী হয়ে উঠবে। বরং এমন বলা হয়েছে, এই ধন-দৌলতের মোহেই তোমরা পথ ভ্রষ্ট হবে। তবে অন্যত্র বলা হয়েছে তোমরা বিজয়ী হবে, তোমরা শান্তি পাবে, তোমরা পরিতৃপ্ত হবে ইত্যাদি।

এবার ধন সম্পদের কথায় আসি, দুনিয়ার একটা নীতি হল

পরিশ্রম করলে ধন আসবে,

এবাদত করলে শান্তি আসবে,

প্রাচুর্য থাকলে সুখ আসবে,

অহংকার থাকলে পতন আসবে,

এই কথাগুলো মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, নাস্তিক সবার জন্য প্রযোজ্য। ইউরোপের মানুষ ধনী হয়েছে নিজেরা পরিশ্রম করেছে বলে, তারা খৃষ্টান হবার কারণে ধনী হয়নি। ভারতের হিন্দু ও বাংলাদেশের মুসলমানেরা গরীব হয়েছে হিন্দু মুসলিম হবার কারণে নয়। তারা গরীব হয়েছে তাদের মেধাকে যথাযথ কাজে না লাগানোর জন্য। ইহুদী, খৃষ্টান, মুসলিম সহ পৃথিবীর কোন ধর্ম গ্রন্থই দাবী করেনা যে, আমাকে অনুসরণ করলে ধনী হয়ে উঠবে। বরং প্রতিটি ধর্ম গ্রন্থ দাবী করেছে ‘দুনিয়াতে শান্তি মিলবে মৃত্যুর পরে মুক্তি মিলবে’। কে কাকে নিয়ন্ত্রণ করবে, সেটা তার যোগ্যতা দক্ষতার উপরে নির্ভর করবে। আল্লাহ আহ্লাদে পড়ে মুসলমানদেরকে অন্য জাতির উপর প্রতিষ্ঠিত করবেন এমন ওয়াদা কোরআনের কোথাও করা হয়নি!


প্রশ্ন: ৬.

ইসরায়েল ইহুদী জাতি, আমরা জানি মুসলমানদের শত্রু তিনটি, কুরাইশ পৌত্তলিক, ইহুদী ও নাজদ বাসী। ফেইসবুক হল ইহুদিদের!!তাহলে মুসলমানরা ফেইসবুকে কি করছে ..আল্লাহর শত্রু কাফেরদের সাথে!!মৃত্যুর পর আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবেন!


উত্তর: মুসলমানেরা ইহুদীদের শত্রু মনে করেনা, এর স্বপক্ষে দলীল কোরআন হাদিসের কোথাও নাই। তবে কোরআনে এটা বলা আছে তোমরা ইহুদী এবং মুশরিক কে যতই ভালবাস না কেন, তারা তোমাদের কে পছন্দ করবে না, যতক্ষণ না তোমরা তাদের মত হয়ে যাও।

মুসলমানেরা অতীতেও ইহুদীদের ঘৃণা করত না, যদি করত তাহলে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের মুসলমানেরা জার্মান থেকে বিতাড়িত ইহুদীদের নিজের দেশে স্থান দিতনা।

ইহুদীরাই আগ্রাসী বলে বর্তমানে মুসলমানদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে আছে, যেভাবে অতীতে ইউরোপীয় খৃষ্টানদের সাথে করত এবং ফলে ইহুদীরা ইউরোপ থেকেও করুনভাবে বিতাড়িত হয়েছে।

তাদের একই চরিত্রের কারণে আরব থেকেও ইহুদীরা বিতাড়িত হয়েছিল। যদিও প্রশ্ন কারীরা আরব থেকে ইহুদী বিতাড়নের রগরগে কাহিনী প্রচার করে কিন্তু তার চেয়েও বহু করুন ভাবে ইউরোপ থেকে ইহুদীরা বহুবার বিতাড়িত হয়েছে সেটা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা হয় না।


প্রশ্ন: ৭.

ইসলামে নাচ, গান-বাজনা, হই হুল্লোড়, রং ছিটানো, গ্যালারীতে বসে চিৎকার, কোন দলের জন্য আল্লাহর নিকটে প্রার্থনা, খেলাধূলার নামে এসব বেহায়াপনা সম্পূর্ণ হারাম!! এগুলো কবিরাগুনা! তাহলে মুসলমানরা এগুলো বর্জন করে ঘরে বসে জিকির করছে না কেন?? নাকি তারা কোরানের এই নিয়ম মানে না?


উত্তর: হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ধর্মের নিয়ম হল, কেউ দাবী করল যে সে ধর্মের, তাহলে সেই ব্যক্তি সেই ধর্মের হয়ে যায়। ইসলাম ধর্মে এই ধরনের কোন নিয়ম নাই। মুখে দাবী তো করতেই হবে, অন্তরে বিশ্বাস করতে হবে এবং দাবী অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যে ব্যক্তি নামাজ পড়েনা, সে মুসলমানই থাকেনা। যারা নামাজ না পড়ে, নামাজের সময় খেলার মাঠে হৈ হুল্লোড় করল, তারা কেমন মুসলমান হল! এসব মুসলমান নিয়ে কথা থাকতেই পারে, কেননা তারা কোরআনের আদেশ শুনছে না, হাদিসের কথা মানছে না। তারপরও আমরা তাদের মুসলমান মানছি কেননা মুসলমান হিসেবে আক্রান্ত হবার জন্য তার নামটিই যথেষ্ট। তাই সকল মুসলমানের উচিত ঘরে বসে জিকির নয়, পুরোপুরি কোরআন হাদিসের কথা মত চলা।



প্রশ্ন: ৮

তোমরা জেহাদ করতে থাক কাফেরদের বিরুদ্ধে, দেখবে কাফের (শয়তানের) পক্ষ অতি দুর্বল (কোরান ৪:৭৬) তাহলে ফিলিস্তিনরা মার খায় কেন? ইহুদী ইসরায়েল এত শক্তিশালী! আল্লাহর বাণী এখানে ঘোর মিথ্যা নয় কি??


উত্তর: কোরআনের আদেশ মত সবাই লড়াই করছে না বলেই তো মার খাচ্ছে! অস্ত্র-খাদ্য-বিদ্যুৎ বিহীন গাজার মানুষেরা লড়াই করে দেখিয়ে দিয়েছে যে, যদি অতিরিক্ত সামান্য অস্ত্র তাদের কাছে থাকত, তাহলে ইসরায়েল বলে কিছু থাকত না। ইসরায়েলের পাশের দুটি দেশ লড়াই করলেও তো ইসরায়েলের সমস্যা হবে। সুতরাং আল্লাহর বানী সঠিক ও নির্ভুল।

প্রশ্ন: ৯.

যে বেক্তি সেচ্ছায় মুসলমান হত্যা করে তার শাস্তি জাহান্নাম, এবং সেখানেই সে চিরকাল থাকবে! (কোরান ৪:৯৩) চারিদিকে মুসলমানদের হাতে মারা যাচ্ছে অসংখ্য মুসলমান, নারী শিশুও বাদ নেই, জেহাদ করতে গিয়ে কি উল্টো জাহান্নামের দিকে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে না মুসলিমরা?


উত্তর: সত্যিকার অর্থেই যদি কোন ব্যক্তি জেহাদ করে তাহলে তার হাতে মুসলমান নিহত হবার কথা নয়। জেহাদ প্রথমে নিজের ইচ্ছা-প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে করতে হয় তারপর মাঠে নামতে হয়। যে ব্যক্তি প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তার হাতে কেউ খুন হতে পারেনা। প্রশ্নকর্তা জেহাদের বাংলা অর্থ করেছেন যুদ্ধ। আসলে পুরোটাই ভুল ‘জেহাদ’ অর্থ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা এবং কেতাল অর্থ যুদ্ধ বা লড়াই। সুতরাং যে মুসলমান অনর্থক মানুষ হত্যা করবে সে জাহান্নামে যাবে। কোন মুসলমান যদি কাফেরের মত জাহান্নামে যাবার জন্য পাগল হয়, তাহলে বাকিদের করার কি আছে?

প্রশ্ন: ১০.

ইসলামিক পোশাক পড়া হালাল করা হয়েছে? যার ফলে নারীরা কুদৃষ্টি থেকে রক্ষাপেতে পারে, তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মাদ্রাসাতে কেন ধর্ষণ হয়, ওই সময় বোরকার তেজ কি বিলুপ্ত হয়ে যায়??


উত্তর: ইংরেজিতে স্কুল, বাংলায় বিদ্যালয় আর আরবিতে মাদ্রাসা সবই একই জিনিষ। ধর্ষণ গোরস্থান, শ্মশান, মাদ্রাসা, মন্দিরে হতেই পারে সেটা মাদ্রাসার দোষ নয়। ফৌজদারি অপরাধের বিচার হয়না বলেই কিছু মানুষ জানোয়ারে পরিণত হয়েছে। অন্তত একজন মানুষকে ধর্ষণের অপরাধে যদি পাথর মেরে হত্যা করা হত, তাহলে পুরো দেশ ঠাণ্ডা হয়ে যেত। যাক, বোরকা দিয়ে দেহ ডাকলেই নিরাপদ হয়না, তার অন্তরকেও বোরকা দিয়ে ঢেকে ফেলতে হবে, তাহলে উপায় মিলবে।

প্রশ্ন: ১১

আমরা জানি যে আরও একটি কুৎসিত জগন্য ব্যপার আছে, সেটা হচ্ছে বলাৎকার!! ছেলে ধর্ষণ যেটা হজুররা করে থাকে!! তাহলে আমার প্রশ্ন বলাৎকার করে কেমন যৌন তৃপ্তিপাওয়া যায়, আর তাতে কতটুকু সওয়াব প্রাপ্তি হয়?


উত্তর: ছেলে ধর্ষণ হুজুরেরা করেনা, যেহেতু কোন প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ সম্পর্কে পড়ানো হয়না বরং পাড়ায় মহল্লায় হুজুরেরা এসবের বিরুদ্ধে মানুষকে সোচ্চার করছেন। বিক্ষিপ্ত ভাবে কেউ একজন করে থাকলে সেটা উদাহরণ হয়না। উদাহরণ তখনই হত, যদি সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে কিংবা আদালতে তুলতে সাধারণ মুসলমানেরা বাধা দিত! যেহেতু কোন মুসলমান তার শাস্তির জন্য বাধা দেয় না, তাই সেটা ইসলামের কাজ বা হুজুরদের কাজ হিসেবে প্রমাণিত হয়না।

প্রশ্ন: ১২

আল্লাহ মুর্তি পুজা হারাম বা শিরক হিসেবে ঘোষণা করেছেন? মুর্তি জড় বস্তু এতে কোন প্রানের স্পন্দন নেইতাহলে কাবা ঘরে স্থাপিত ওই চর্তুভূজ কালো ডিব্বার ভিতরে কি প্রানের স্পন্দন রয়েছে, আর তাহার প্রমাণ কি??


উত্তর: মানুষ তো কাবা ঘরের পূজা করেনা! তারা যখন কাবা ঘরকে সামনে নিয়ে সেজদা করে, তখনই তারা বলে যে, ‘ফালইয়া বুদু রাব্বা হাজাল বাইত’ আমরা এই ঘরের মালিকের পূজা করছি।

প্রশ্ন: ১৩.

আমরা জানি যে, মুসনমানদের মধ্যে নাকি জাতিভেদ বা গোত্র বৈষম্য নাই! তাহলে শিয়া - সুন্নী গুতাগুতি লেগে থাকে কেন? শিয়ারা ও ইসলামের নিয়মকানুনমেনে চলে, আর যদি তারা কাফেরই হয় তাহলে মুসলিম বিশ্ব তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে না কেন??


উত্তর: কোরআন হাদিসের অনুসরণ অনুযায়ী প্রকৃত মুসলমানেরা কোন জাতিভেদ প্রথায় জড়াবে না, বর্ণবাদ ইসলামে হারাম। তবে হাদীসে উল্লেখ আছে, মুসলমানদের মাঝে বিভক্তি আসবে এবং কেয়ামত পর্যন্ত তা আসতেই থাকবে, কেউ এটাকে থামাতে পারবে না। সেখানে সর্বদা একটা দল সঠিক পথে থাকবে। সুতরাং মুসলমানদের মাঝে বিভক্তি থাকবে সেটা আল্লাহর সিদ্ধান্ত। এই বিভক্তির কথা মুসলমানের জানে এবং বুঝে। এই বিভক্তি আছে বলেই অন্যরা সুবিধা নিতে পারছে।

প্রশ্ন: ১৪.

অনেক বলে যে, জংগীরা মুসলিম নয়, আবার অনেকে জেহাদের প্রেক্ষিতে তাদেরকে সার্পোট করে! তাহলে এখানে প্রশ্ন হল যদি জংগীরা মুসলিমই না হয়, তবে তারা ইসলামকে টাইটেল হিসেবে কেন ব্যবহার করে, আর এর প্রেক্ষিতে মুসলমান রাস্ট্র গুলো নিরব কেন??


উত্তর: বাংলাদেশে যেটাকে জঙ্গি বলে চিত্রিত করা হচ্ছে এর সাথে ইসলামের জঙ্গি প্রথার সুযোগ নাই আর জেহাদের ধারনাটা পরিষ্কার, যার অর্থ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা কোন মতেই যুদ্ধ নয়। প্রচেষ্টা করতে গেলে কেউ ক্ষিপ্ত হবে, কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করলে তা মীমাংসা না হওয়া অবধি প্রতিহত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

জঙ্গিবাদ শব্দটি উর্দু ‘জং’ থেকে এসেছে। জং অর্থ সংগ্রাম তবে সন্ত্রাস নয়। পাকিস্তানের সেরা পত্রিকাটির নাম জং। জঙ্গিবাদ যেহেতু ইসলাম সাপোর্ট করেনা তাই কোন ইসলামী দেশ এসব নিয়ে অহেতুক কথা বলার গরজ বোধ করেনা। যারাই শব্দটি সৃষ্টি করেছে, তারাই সেটার ব্যাখা বলে বেড়াচ্ছে, এর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই, যদিও শব্দটিকে জোড় করে ইসলামে ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে।



প্রশ্ন: ১৫.

ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার ফলে, অসংখ্য মন্দির তথা হিন্দুদের ওপর নির্যাতনচালিয়েছে ধর্মপ্রাণ মুমিনরা, কেননা মুশরিকরা মসজিদে হামলা করেছে! এখানে প্রশ্ন হল, যখন জংগীরা মসজিদে বোমা মারে, ইরাক, পাকিস্তান, আফগান, সিরিয়া সৌদি আরব। ২০১৩ তে হেফাজত পুড়ালো শত শত কোরান এই প্রসঙ্গে মুসলমানরা নিরব কেন, তাহলে কি বুঝব মুসলিম হয়ে মসজিদ ভাঙ্গা কোরান পোরানো হালাল??



উত্তর: বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার সাথে মন্দির ভাঙ্গার সাথে কোন সম্পর্ক নাই। বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার বছরের বাংলাদেশী পত্রিকাগুলো খুলে দেখুন এবং দেখান ইসলামী কোন নেতা, দল, পীর-হুজুর কেউ মন্দিরে হামলা করতে কাউকে নির্দেশ দিয়েছে কিনা? সরকার এর প্রতিকারে মামলা মোকদ্দমা গ্রহণ করেছিল কিনা? করা হলে কোনটির রায় হয়েছে কিনা, মন্দির ভাঙ্গতে গিয়েছে এমন ব্যক্তিকে সরকার গ্রেফতার করার ফলে মুসলমানেরা প্রতিবাদ করেছিল কিনা!

যদি সব গুলোর উত্তর না হয় (বস্তুত না হবে) তাহলে ফৌজদারি অপরাধের দোষ ব্যক্তির ঘাড়ে না চাপিয়ে ধর্মের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে কেন? কয় বছর আগে, রামুর বৌদ্ধ মন্দির ভাঙ্গতে কোন হুজুর কি বলেছিল নাকি মামলার বিরুদ্ধে কোন ইসলামী দল লড়াই করেছিল? বায়তুল মোকাররমের পাশে যারা কোরআন পুড়িয়েছে, তাদের ভিডিও চিত্র ধারণ করা আছে, সরকার এই বিচার কেন করছেনা? এই বিচার করতে গেলে সরকারি দলের কর্মী বিদ্রোহ দেখা দেবে।


প্রশ্ন: ১৬.

খায়বার যুদ্ধে ইদুহিদেরকে হত্যা করে বহু নারীদের বন্দি করা হয় । তখন নারীদের ভাগ’বাটোয়ারা করা হয় এবং গনিমতের মাল হিসেবে মোহাম্মদ সাফিয়াকে ভাগে পান, সেদিন তার সাথে রাত কাটিয়ে পরে তাকে বিয়ে করেন। প্রশ্ন হল গায়ের জোর খাটিয়ে আরেক জনের স্ত্রী’কে দখল করে বিয়ে এটাকে আপনারা কোন দৃষ্টিতে দেখেন?


উত্তর: তখনকার দুনিয়ার সমাজ ব্যবস্থায় বর্তমানের মত কোন কারাগার প্রথা ছিলনা এবং বন্ধীদের কোন খাদ্য-বস্ত্র দেবার প্রচলন ছিলনা। বন্দিদের পায়ে শিকল পরানো থাকত। তারা শিকল পড়ে মানুষের দুয়ারে ভিক্ষা করত। প্রথমত তারা অপরাধী দ্বিতীয়ত বন্ধী তাই তাদের প্রতি কেউ সহমর্মীতা দেখাত না এমনকি পানি দিয়েও উপকার করত না। নারীদের বেলায় ছিল আরো করুন। এসব নারীকে উচ্ছন্নে যাওয়া বালকেরা রাতদিন পথে ঘাটে ধর্ষণ করত। পেটে খাদ্য নাই তার উপর থাকত কঠিন উৎপীড়ন!

মুসলমানেরা এসব বন্ধীদের জীবন বদলিয়ে দিতে এগিয়ে আসে। বন্ধীরা কোন উপকার করেনি যে, তাদের বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবে! আবার মেরে ফেলার ব্যবস্থাও করেনি। বন্ধীদেরকে ভাগ করে বাড়িতে নিয়ে যেত এবং খাদ্য খাইয়ে জীবন বাঁচাত। বন্ধীদের কেউ অর্থের বিনিময়ে মুক্তি পেত, অনেকে অশিক্ষিতকে শিক্ষিত করার বিনিময়ে মুক্তি পেয়েছে।

ইসলামে বিয়ে করার জন্য অন্যতম রীতি ছিল কন্যাকে রাজী থাকতে হবে। রাজী ব্যতীত কাউকে জোড় করে বিয়ে করা যায়না। রাসুল (সাঃ) সকল জীবিত শ্বশুরেরা মুসলমান হয়েছিলেন সেই ইহুদি কন্যার পিতা সহ। তাছাড়া রাসুলের ইন্তেকালের পরে সেই স্ত্রী জীবিত ছিলেন তিনি কোনদিন দাবী করেন নি যে, তাকে জোড় করে বিয়ে করা হয়েছে।


প্রশ্ন: ১৭.

আল্লাহ দাবি করেন, পৃথিবীতে বিচরণকারী এমন কোনপ্রাণী নেই, যে তার জীবিকার দায়িত্ব তিনি নিজে গ্রহন করেননি (সুরা হুদ:১১:৬) তাহলে অভাবে দুর্ভিক্ষে না খেয়ে মানুষ নামের প্রানীগুলো মরে কেন ? যেমন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের ভয়াবহদুর্ভিক্ষ। এখানে আল্লাহর কথা মিথ্যা নয় কি?


উত্তর: এই পৃথিবীতে যত মানুষ আছে, তাদের খাদ্যের জোগানের জন্য পৃথিবীতে যথেষ্ট জায়গা আছে। প্রতি বছর যে পরিমাণ উৎপাদন হয়, সেগুলো মানুষ শুয়ে বসে ক্ষেতে পারবে। অর্থাৎ জীবিত সকল প্রাণীর জীবিকা পৃথিবীতে আছে। মানুষের অবিচার, অসম বণ্টন, চৌর্যবৃত্তি কারণে কেউ দরকারের বেশী পায়, কেউ একেবারেই পায়না। সে জন্য মানুষকে নিজের অধিকার ফিরে পেতে, অন্যকে পাইয়ে দিতে অবিরত লড়তে হয়। মানুষ ন্যায়ের জন্য লড়াই করেনা বলেই পৃথিবীতে সমতা আসেনা। মানুষ না খেয়ে মরে কেননা সে আলসে প্রকৃতির আবার অপচয় কারীও। পৃথিবীর অন্য কোন প্রাণী মানুষের মত এভাবে মরেনা কেননা তারা অধিকার আদায় করেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। আবার যত প্রাণী মরে তাও মানুষে অনিষ্টের কারণেই মরে, খাদ্যের অভাবে নয়। প্রানীর খাদ্যাভাব মানুষের কারণেই সৃষ্টি হয়, সুতরাং আল্লাহর কথা মিথ্যা নয়।

প্রশ্ন: ১৮.

মোহাম্মদ বলেছেন কালোজিরা মৃত্যু ব্যাতিত (বার্ধক্য জনিত) রোগ ছারা সকল রোগ সারাতে পারে। এছারা আছে উটের মুত্র মেডিসিন, মাছির পাখায় রোগের প্রতিকার। তাহলে মোহাম্মদ এর আবিস্কৃত ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা না করে, কেন ইদুহি,খৃষ্টান, কাফেরদের তৈরি চিকিৎসা পদ্ধতি মুসলমানরা ব্যাবহার করছে?


উত্তর: কালো জিরা, মাছির ঘটনা, এগুলো ঔষধ নয়, এটা হল প্রতিষেধক। প্রতিষেধকের মর্ম হল, করলে ভাল থাকবেন, না করলে মরবেন না।

বর্তমান বিজ্ঞান সেটার স্বীকৃতি দেয়। আরবের এক বেদুইন অঞ্চলে প্রচণ্ড গরমে প্রতি বছর বহু মানুষ পাগল হয়ে যেত, ঠাণ্ডা না আসা পর্যন্ত এই রোগ ভাল হতনা। তারা মুসলমান হলে পর এক বেদুইন প্রশ্ন করেছিল এখন তো আমরা ভাল আছি কোরআনের কথা মেনে চলব কিন্তু পাগল হবার পরে কি হবে? ঘটনাটি রাসুল (সাঃ) শুনে বললেন, তোমাদের রোগের ঔষধ উঠের মূত্রের মাঝে আছে। পুরো বেদুইন গোত্র উঠের মূত্র পান করে ভাল হয়েছিল।

তাই বলে দুনিয়ার সবাইকে মূত্র পান করতে বলেন নি! এটা তো ইতিহাসের স্বীকৃত কথা, এই ঘটনা শোনার পর সেই বিশ্বাস দৃঢ় হওয়া জরুরী ছিল যে, তিনি প্রকৃতই আল্লাহ প্রেরিত রাসুল ছিলেন।


প্রশ্ন: ১৯.

আল্লাহ তার কোরানে বলেছেন- আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর হেফাজত কারী, তাহলে সারা দুনিয়াতে অনেক কোরান পুডালেও তার কোন রিএকশন নেই কেন?


কোরআন তো পুড়ানো যায়না, ঢুবানোও যায়না। কোরআন মুসলমানদের হৃদয়ে ধারণ করা। প্রতি ওয়াক্ত নামাজে মুসলমান কোরআন পড়ে, তা না দেখেই পড়ে, মুখস্থই পড়ে। লক্ষ লক্ষ মানুষ বিশাল কোরআন হুবহু হৃদয়ে ধারণ করে আছে। কোরআনকে সম্পূর্ণভাবে পুড়াতে হলে পৃথিবীর ১২০ কোটি মুসলমানদের সবাইকে পুড়াতে হবে। কাগজে লিখা কোরআন মোহাম্মাদ (সাঃ) সময়ে ছিলনা। বহু পড়ে চালু হয়েছে, তবে কোরআনের লক্ষ লক্ষ হাফেজ আছে। পৃথিবীতে একমাত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন, যেটা আকারে বড় তবে মুখস্থ করা সহজ, মনে রাখা সহজ, পড়তে খারাপ লাগেনা, শুনতে বিরক্ত আসেনা। এটা কোনদিন ধ্বংস হবেনা, করাও সম্ভব নয়। অন্য সকল ধর্মের ধর্মগ্রন্থ সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা তাদের ধর্মের প্রধান পুরোহিতের কাছেও মুখস্থ নাই।

বিষয়: বিবিধ

১৩৯৯৫ বার পঠিত, ৭৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

344339
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:২৩
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ১ নং প্রশ্নত্তর: কৃষ্নের বউয়ের সংখ্যা ছিলো ১৬,১০০। Krisnaa Familly এটি তাহলে কি? আর কৃষ্ন কিন্তু রাধা তার মামীকে প্রথম আজাচার করেছিলো ফলে রাধা পাগলনী হয়েগিয়েছিলো। এট তাহলে কি? এটা কি ধর্ষন নয়? এজন্যই কলকাতার গান: কৃষ্ন করলে লিলা, আমরা করলে বিলা।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৩
285650
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : বাকি গুলোর উত্তর ঠিক আছে। তবে জ্ঞানীরাই উপদেশ গ্রহন করে। হিন্দু ধর্মের কিতাবে তো নারীকে ঘোড়া দিয়ে আজাচার করার কথা আছে ওগুলো নিয়ে প্রশ্ন করলে তো উনি কাঁদতে হুশ পাবে বলে মনেহয় না।

আমরা চাইনা ওরকম প্রশ্ন করতে। তবে উনি যদি জ্ঞানী বা সচ্ছ চোখে পড়েন তাহলে আশকরি বুঝবেন। তবে বোঝার সম্ভাবনা ০%.

জাজাকাল্লহু খায়র।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৯
285663
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : হিন্দু সত্য অনুধাবন করতে না পারুক, তবে সকল প্রশ্নের উত্তর যে, যত বেয়াড়া প্রশ্নই হোক না কেন, এসবের উত্তর সুন্দর ভাবে দেওয়া যায়, সেটা বুঝানোর জন্যই উত্তর গুলো লিখলাম। মুলত উত্তর গুলো মুসলিমদের জন্য লিখা, যারা উত্তর দিতে না পেরে, উল্টো উত্তর দেয়, তাতে অন্যরা তামাশা অনুভব করে। ধন্যবাদ
344340
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:৩০
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : সুন্দর প্রশ্লগুলোর সাথে চমৎকার যুক্তি নির্ভর জবাব।
যাযাকুমুল্লাহ।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৯
285664
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। আমীন।
344344
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:৪০
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া, জাজাকাল্লাহ খাইরান।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৯
285665
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। আমীন।
344346
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:৪২
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৯
285666
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনিও ভাল থাকুন। ধন্যবাদ।
344348
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৮
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খায়ের।

প্রশ্ন নং ২ঃ মুসলমানরা বলে যে, নাস্তিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্টান, ইহুদী এরা শয়তানের সৃষ্টি, এরা মুলত কাফের মুশরিক ইত্যাদি, ইত্যাদি!

-সকল মানুষই মহান আল্লাহর সৃষ্টি।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:১০
285667
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, ভাল থা্কুন।
344358
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৬
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
০৪ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:০১
285675
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
344359
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৬
হতভাগা লিখেছেন : মাশা আল্লাহ ! খুব সুন্দর ভাবে সাধ্যমত উঃ দিয়েছেন এবং এরকমই হওয়া উচিত আসলে ।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:০৩
285676
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইসলামের এমন কোন দিক ও বিভাগ নেই যে, তাকে আক্রান্ত করা হলে উত্তর দেওয়া কঠিন। এটা আল্লাহর মনোনীত দ্বীন তাই তার উত্তর, ঘটনা সবই পরিষ্কার ও স্বচ্ছ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
344361
০৪ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৮
নাবিক লিখেছেন : চমতকার উত্তরগুলো, অনেক ধন্যবাদ।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:২১
285678
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
344362
০৪ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৯
অপি বাইদান লিখেছেন : সূরা ৩ঃ৫৬-

Pickthall
As for those who disbelieve I shall chastise them with a heavy chastisement in the world and the Hereafter; and they will have no helpers

SAHIH INTERNATIONAL
And as for those who disbelieved, I will punish them with a severe punishment in this world and the Hereafter, and they will have no helpers."

Muhammad Habib Shakir
Then as to those who disbelieve, I will chastise them with severe chastisement in this world and the hereafter, and they shall have no helpers.

Abdullah Yusufali
"As to those who reject faith, I will punish them with terrible agony in this world and in the Hereafter, nor will they have anyone to help."

অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের কোন সাহায্যকারী নেই- Click this link
০৪ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:২২
285679
অপি বাইদান লিখেছেন : প্রশ্ন: ৫.
০৪ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৯
285680
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ দুনিয়াতে ও আখিরাতে কাফেরদেশ শাস্তি দিবেন সেই কথার সাথে আমার দ্বিমত নাই। প্রশ্ন কর্তা যে আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়েছেন সে কথাটি সে আয়াতে নাই, তাই আমি পুরো আয়াতটি তুলে ধরেছি।

প্রশ্ন হতে পারে দুনিয়ার শাস্তির ধরনটি কেমন হবে? তবে নিশ্চয়ই সেটি আকাশ থেকে বেত নামিয়ে পিঠানো হবে না কিংবা শুন্য থেকে গুলি মেরে নাও হতে পারে। সেটা আল্লাহর নিজস্ব ব্যাপার।

তবে তা হতে পারে, মানসিক, শারীরিক, দৈহিক, অর্থনৈতিক, অপমান, বিপর্যয় ইত্যাদি উপায়ে। বদরের যুদ্ধে ৩১৩ জনকে আল্লাহ সাহায্য করবেন বলেছিলেন, ফলে আল্লাহ শক্তি ও তেজে বেগমান শত্রুদের মনে বিপদজ্জনক ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। তাতেই তারা পর্যদুস্ত হয়, এটাও সেই একই শাস্তি। আল্লাহ বলেছেন প্রথমটি থেকে পরবর্তীটি শাস্তিটি ভিন্ন প্রকারের দিয়ে থাকে।

আল্লাহ নিজেই বলেছেন,
১০ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৫:৪৫
286457
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : লিটুয়ারা 
অপ্রিয় সত্য কথা,খেলাঘর বাধঁতে এসেছ,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া, 
মারিয়া 
পরীবানু 
মরুর মুসাফির 
পরীবানু ,সততার আলো 
অশ্বথমা 
@অপি বাইদান ,অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক 
পরমা ,নীলমণীলতা 
বিলকিস লায়লা 
দস্তার 
রুপবান 
মুক্তিযুদ্ধ ৭১ 
দ্রাবীড় বাঙাল 
লেয়লা ইসলাম 
বিলকিস 
বাংলা ৭১ 
ভিক্টোরিয়া 
হেলেনা 
পল্লব প্রভাতে 
খালেদ 
রুশো তামজিদ 
বারাংগনা 
মধুবালা 
সখি 
ফয়সাল১ 
মাঝি-মাল্লা, , 
লায়লার 
লায়লা০০৭ 
রাতুল দাস 
চকো চকো 
সায়েদ-রিয়াদ 
বিভ্রান্ত নাবিক 
ফাজিল 
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক 
মুক্তিযুদ্ধ ৭২ 
দ্রাবীড় বাঙাল 
পিচ্চি পোলা 
কাওসাইন হক 
চাষা 
jahed_ullah 
নীরু 
সাদা মন 
সাদা মন 
চোথাবাজ 
আমি বিপ্লবী 
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা 
এই নেরিকুত্তার এত নিক
১০ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৫:৪৫
286458
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : @অপি বাইদান লিটুয়ারা 
অপ্রিয় সত্য কথা,খেলাঘর বাধঁতে এসেছ,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া, 
মারিয়া 
পরীবানু 
মরুর মুসাফির 
পরীবানু ,সততার আলো 
অশ্বথমা 
@অপি বাইদান ,অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক 
পরমা ,নীলমণীলতা 
বিলকিস লায়লা 
দস্তার 
রুপবান 
মুক্তিযুদ্ধ ৭১ 
দ্রাবীড় বাঙাল 
লেয়লা ইসলাম 
বিলকিস 
বাংলা ৭১ 
ভিক্টোরিয়া 
হেলেনা 
পল্লব প্রভাতে 
খালেদ 
রুশো তামজিদ 
বারাংগনা 
মধুবালা 
সখি 
ফয়সাল১ 
মাঝি-মাল্লা, , 
লায়লার 
লায়লা০০৭ 
রাতুল দাস 
চকো চকো 
সায়েদ-রিয়াদ 
বিভ্রান্ত নাবিক 
ফাজিল 
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক 
মুক্তিযুদ্ধ ৭২ 
দ্রাবীড় বাঙাল 
পিচ্চি পোলা 
কাওসাইন হক 
চাষা 
jahed_ullah 
নীরু 
সাদা মন 
সাদা মন 
চোথাবাজ 
আমি বিপ্লবী 
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা 
এই নেরিকুত্তার এত নিক
১০
344373
০৪ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:২৫
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
চমৎকার লাগলো প্রতিটি উত্তর! আল্লাহ আপনার মেধায় বারাকাহ দান করুণ! আমিন!
০৪ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:২৮
285688
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমিন, আল্লাহ আপনার দোয়া করুন। ভাল থাকুন।
১১
344384
০৪ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
তবে সত্য হচ্ছে যুক্তিযুক্তি উত্তর দিলেও তারা এটা গ্রহন করেনা কারন তারা ভাল করেই জানে যে এই প্রশ্নগুলি আসলে তর্ক বৃদ্ধির কূটনিতি। সত্য জানা তাদের উদ্দেশ্য নয়। প্রথম প্রশ্নটির উত্তরে উদাহরন দেয়া যায় রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রি বিয়ের সময় ছিলেন ৯ বছর বয়সি। কিন্তু এটা নিয়ে রবিন্দ্রসমালোচক রাও কোন প্রশ্ন তুলেন না কারন তৎকালিন সামাজিক প্রথায় এটা ছিল সম্পুর্ন স্বাভাবিক।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৯
285694
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে ঋতুবর্তী হওয়া মাত্র বিয়ের প্রথা এখনও বিদ্যমান। সরকারী হয়রানীর ভয়ে কেউ প্রকাশ করেনা। আমি যখন চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র তখন আমার সহপাঠি তিন জন হিন্দু ও দুই জন মুসলিম ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যায়। পঞ্চম শ্রেনী থেকে হাই স্কুলে যাই তখন আমার সহপাঠি কোন ছাত্রীই হাই স্কুলে যেতে পারেনি। তার আগেই তাদের বিয়ে হয়ে যায়। অষ্টম শ্রেনীতে ৮০ জন ছাত্রের বিপরীতে ৫ জন ছাত্রী ছিল। দশম শ্রেনীতে দুই জন হিন্দু ছাত্রী পরীক্ষা দিতে পেরেছিল। তারা দুই বোন অসুন্দরী ছিল এবং ভয়ঙ্কর প্রকৃতির ঝগড়াটে স্বভাবের ছিল। এই গুন যদি তাদের না থাকত, তাহলে ৮০ জনের বিপরীতে দুই জন ছাত্রীও এস এস সি পরীক্ষা দেবার সুযোগ পেতনা।

আমি বিয়ে করতে যাবার আগেই আমার এসব সহপাঠীনীদের মেয়েরা বিয়ের উপযোগী হয়ে যায়। পঞ্চম শ্রেনীতে হারিয়েছি এমন মেয়ে ক্লাস মেটের নাতিনীরা এখন স্কুলে যায়, অথছ আমার ছেলে মাত্র দশম শ্রেনীতে পড়ছে।

এসব মতলব বাজ বুদ্ধিজীবি বর্তমান দিয়ে অতীত বিচার করে। বর্তমান আইনে বাল্য বিয়ে নিষিদ্ধ বলে চিন্তা করে অতীতে তিনি কিভাবে এই কাজ করেছিলেন? কথা হল এই আইন যে মানুষ বানিয়েছে নিজেেদর সুবিধার জন্য সে কথা বেমালুম ভুলে যায়। অনেক ধন্যবাদ।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:৩৩
285742
অপি বাইদান লিখেছেন : উল্লেখযোগ্য, কবি রবীন্দ্রনাথ যথাযত যুবক বয়সে ১২ বছরের বালিকা মৃনালিনিকে বিয়ে করেন। তিনি ৬০ বছর বয়সে ৬ বছরের বালিকা বিয়ে করেন্নি। (Rabindranath was summoned from Satyendranath's residence. Before marriage her name was Bhabatarini. At the time of the marriage Rabindranath was 22 years old and Bhabatarini was 12.(Click this link)

আপনারা আসলে নবী মোহাম্মদের অনৈতিক শিশু বিয়ে কে হালাল করার জন্য এখন পৃথিবীর আস্তাকুর ঘেটে কোন মেয়ে ৫ বছরে সন্তান প্রষোব করেছে, কোন মেয়ে ক্লাস ফোরে বিয়ে করেছেন..... এসব হাবিজাবি উদাহরন টেনে নিজেদের আরো হাস্যকের প্রমান করছেন।

তো, নাবালিকা শিশু বিয়ে যদি এতই সুন্নতি সুমধুর হবে তো মুমিনরা তাদের নিজ কন্যাকে ৬ বছর বয়সে বিয়ে দেন্না ক্যান?
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:২৮
285761
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইসলামের ইতিহাসে এই ধরনের নজির বহু আছে। উদাহরণ হিসেবে, খোদ আলী (রাঃ) এক কন্যাকে একই ভাবে ওমর (রাঃ) বিয়ে করেন। সুতরাং এই আমল শুধু রাসুল (সাঃ) করেছিলেন তা নয়, তাঁর সাহাবী মুমিনেরাও করেছেন প্রমানিত হয়েছে।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০১:১৬
285768
অপি বাইদান লিখেছেন : বেশ বল্লেন! আপনিও তাহলে নিজের ৬ বছরের কন্যাকে ৬০ বছরের কোন বুড়োর কাছে তুলে দিয়ে সুমহান সুন্নত কর্মটি পালন করেছেন। বেশ বেশ @ টিপু ভাই।
১২
344405
০৪ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : মোহতারাম টিপু ভাই মোবারকবাদ জানাচ্ছি সঠিক জবাব দেওয়ার জন্য।
আল্লাহ আজকের লিখাকে কবুল করুন ,,আমীন
টুডে ব্লগের সম্পাদকীয় পরিবারের জন্য আজকেরআজকের এই লিখা নিয়ামত। এই লিখা ব্লগ পরিবারের জন্য বিশাল পাওয়া।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৫৩
285748
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সম্মানীত ভাই। আল্লাহ আপনার বদান্যতাকে কবুল করুন, আমীন।
১৩
344409
০৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:২৭
শেখের পোলা লিখেছেন : প্রতিটা উত্তরই আমার মতে সঠিক ও সুন্দর হয়েছে৷২ নং প্রশ্নে অনেক কিছুকে শয়তানের সৃষ্টি বলা হয়েছে৷ এর উত্তরটি আপনার মিসিং আছে৷ শয়তান স্রষ্টা নয় বরং বিকৃতকারী৷ আনাকে অনেক ধন্যবাদ৷
০৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৫৪
285749
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১৪
344411
০৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৪০
রক্তলাল লিখেছেন : এরকম কত প্রশ্নের উত্তর দিবেন? দিন যাবে রাত যাবে তবে জেগে জেগে যে ঘুমায় তারে কিভাবে জাগাবেন?

যে কোনো সূস্থ মানুষ শুধু "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"র মর্ম বুঝলেই মুসলমান হওয়ার কথা।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৫৫
285750
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : কিছু মানুষ বুঝেও প্রশ্ন করে, কিছু মানুষ উত্তর জেনেও না জানার ভান করে। তবে বেশীর ভাগ মানুষ যথাযত উত্তর না দিয়ে বে-মওক্কা উত্তর দেয়, এতে সত্য ঘটনাটি হাস্যকর হয়ে যায়।
১৫
344434
০৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:৪০
আফরা লিখেছেন : উত্তর গুলো খুব সুন্দর হয়েছে আমাদের ও জানা হল অনেক কিছু । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৫৬
285751
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
১৬
344452
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:৫৮
অপি বাইদান লিখেছেন : দেখুন, অন্যের যুক্তি খন্ডন করতে হলে তত্ব এবং তথ্য সম্মৃদ্ধ রিজিড কথা বলতে হয়। নিজের অন্ধ বিশ্বাসের উল্টাপাল্টা আবেগে একেক জায়গায় একেক কথা বল্লে হবে না ভাই।

আল কোরাণের ৩:৫৬ আয়াতে(বিভিন্ন অনুবাদকের উদ্বৃতি দেখুন) আল্লা আসলে কি বলেছেন তা দিবালোকের মত সুস্পষ্ট। এ বিষয়ে আল্লার পক্ষে তদবির করে লুকুচুরির সুযোগ নেই।

৫নং প্রশ্নের উত্তর পর্বে আপনি নিজেই বল্লেন- "এই আয়াতের কোথাও দুনিয়াতে শাস্তি দিবে এমন কোন ঘোষণা নাই..." পরক্ষনে ৯ নং প্রতিমন্তব্য এসে বল্লেন- "আল্লাহ দুনিয়াতে ও আখিরাতে কাফেরদেশ শাস্তি দিবেন সেই কথার সাথে আমার দ্বিমত নাই। তো, এভাবে খেই হারিয়ে নিজের পান্ডিত্য জাহির করার কোন মানে আছে?

৯ং প্রতিমন্তব্যে এরপর আপনি বল্লেন- "তবে তা হতে পারে, মানসিক, শারীরিক, দৈহিক, অর্থনৈতিক, অপমান, বিপর্যয় ইত্যাদি উপায়ে। বদরের যুদ্ধে ৩১৩ জনকে আল্লাহ সাহায্য করবেন বলেছিলেন, ফলে আল্লাহ শক্তি ও তেজে বেগমান শত্রুদের মনে বিপদজ্জনক ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। তাতেই তারা পর্যদুস্ত হয়, এটাও সেই একই শাস্তি।

হাঁ, আমরা তো সে কথাটিই বলছি। আল্লা ঘোষণা দিয়েছেন : ( অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে.....।

তো, সেই প্রশ্নকর্তার ৫নং প্রশ্নেই ফিরে যাই- তাহলে কাফেররা বর্তমানে শিক্ষা দিক্ষা, জ্ঞান গড়িমা, ধন সম্পদ, শক্তি সাহস, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সবকিছুতেই এত বলিয়ান কেন? আল্লাহর বাণী কি এখানে মিথ্যা প্রমানিত নয়?


আপনি বদর যুদ্ধে তথাকথিত আল্লার কাল্পনিক সাহায্যের পক্ষে বল্লেন ঠিকি, কিন্তু যখন গাজায় ফিলিস্তিনী নারী শিশু'দের উপর ইহুদী বিমান হামলা হয় তখন আল্লা উধাও হয়ে যায়। মুসলিমদের প্রথম কেবলা আলআকাসা মসজিদে ইহুদীরা অগ্নিসংযোগ করে তখন আল্লার টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যায় না। আল কোরাণের কল্পকথা আর বাস্তবতার মাঝে বিরাট ফারাক। নাকি??

ধন্যাবাদ।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
285809
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার প্রশ্নটি আর সিরিয়ালের পাঁচ নম্বর প্রশ্ন একই, যার উত্তর ইতিমধ্যে দেওয়া হয়ে গেছে।
১৭
344454
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০১:৫৬
অপি বাইদান লিখেছেন : প্রশ্ন পর্ব ৬ :

আপনি বল্লেন- "মুসলমানেরা ইহুদীদের শত্রু মনে করেনা, এর স্বপক্ষে দলীল কোরআন হাদিসের কোথাও নাই।"

অথচ আল কোরাণ এবং সাহি হাদীস থেকে জানা যায়,

সূরা ৯:৩০- ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে ‘মসীহ আল্লাহর পুত্র’। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে।

সূরা ৫:৩০- বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের(ইহূদী) প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে।

Sahih al-Bukhari, Volume 4, Book 52, Number 176:
Narrated 'Abdullah bin 'Umar:
Allah's Apostle said, "You (i.e. Muslims) will fight with the Jews till some of them will hide behind stones. The stones will (betray them) saying, 'O 'Abdullah (i.e. slave of Allah)! There is a Jew hiding behind me; so kill him. "


Sahih al-Bukhari, Volume 4, Book 52, Number 177:
Narrated Abu Huraira:
Allah's Apostle said, "The Hour will not be established until you fight with the Jews, and the stone behind which a Jew will be hiding will say. "O Muslim! There is a Jew hiding behind me, so kill him."


Sahih Muslim, Book 041, Number 6981:
Ibn 'Umar reported Allah's Messenger [Muhammad] (may peace be upon him) as saying: You will fight against the Jews and you will kill them until even a stone would say: Come here, Muslim, there is a Jew (hiding himself behind me); kill him.
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:৫৬
285812
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইহুদী এবং নাসারাদের প্রতি আল্লাহর ক্রোধ আছে, তাঁর ক্রোধের কারণ গুলো কি কি, তা তিনি কোরআনের বহু জায়গায় উল্লেখ করেছেন। আর তাদের অবহেলা, ধর্ম মিশ্রণ, অমান্য করা, খুন করা, ব্যভীচার করা সহ নানাবিধ কারণে তাদেরকে বাতিল করা হয়েছে এবং তদস্থলে নতুন দ্বীন তথা ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সুতরাং কেউ ইসলাম মত চললে ইহুদি-নাসারার মত ক্রোধের আগুনে কাউকে জ্বলতে হবেনা। এটাই হল মুল বক্তব্য।

প্রশ্ন হল, কোরআনে আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করেছেন, তা করতেই পারেন কিন্তু তিনি কি কোথাও মুসলামদের এমনটি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন যে, ইহুদী-নাসারা দেখা মাত্র হত্যা কর! (তবে মোকাবেলা বা যুদ্ধ ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা)

দুনিয়াতে আল্লাহ কাফেরদেরকে কিছুদিন অবকাশ দেবেন বলেছেন, তবে প্রতিটি কাফের ব্যক্তিই মৃত্যুর আগে তার পরিনাম কি হতে যাচ্ছে সেটা দেখার সৌভাগ্য পেয়েই মরবেন। অবশ্য এসব আপনিও বুঝেন কিন্তু অন্তর বক্রতার কারণে সবকিছুকে বক্রভাবে উপলব্দি করাই জীবনের লক্ষ্য হয়ে দাড়িয়েছে।
১৮
344456
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০২:২৬
রক্তলাল লিখেছেন : @অপি - বেকুবের মত ছাইপাশ না ছাপালে কি নয়?

আমি আয়াত গুলা ভেরিফাই করেছি। ঐতিহাসিক নিরীক্ষায় সে আয়াত গুলা সত্য।

বদরের যুদ্ধের মতই আল্লাহর সাহায্য আসবেই। এসেছেও।
প্যালেস্টাইনের ব্যাপারেঃ ইসলামিক ব্যাখ্যায় - বিচারহীন শিশু গুলো জান্নাতে যাবে। কিন্তু ইহুদীদের চেহারা উন্মোচিত হল। এসব কারণে মানুষ দেখছে কারা নির্যাতনকারী। আর সেজন্য মানুষ মুসলমান হচ্ছে বা মুসলমানের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।
হামাস কি বদরের যুদ্ধের মতই সফলতা পায়নি ফিনিস্তিনে?
ইসরায়েলি কি হটে যেতে হয়নি? এবং বিশ্বের থুথু পেতে হয়নি?

বাচ্চাদের মত বুদ্ধিহীন কথা না বলে জানার চেষ্টা করেন কিভাবে হিলিয়াম থেকে আগুনও হল আবার মানুষও হল।
জানার চেষ্টা করেন অতিত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ কিভাবে একই সময়ে এক্সিস্ট করে।
ইউনিভার্স এর ধারণা ভূল এবং সেখানে মালটিভার্স হতে পারে এটা বিজ্ঞানীরা কেনো বলছেন সেটা জানুন।

কলকাতা আর ঢাকা ইউনি এর কিছু মূর্খ্য যাদের জানার বিষয় বিজ্ঞান নয় - মানসিকভাবে যৌনতায় প্রভাবিত হয়ে ইসলামকে শুধু ভূল প্রমাণ করার জন্য মূর্খ্যতা সমৃদ্ধ জঞ্জাল না বলে জ্ঞান বিজ্ঞানিক হলিস্টিক পার্সপেক্টিভ থেকে বুঝার ট্রাই মারেন। ছাগলের বুদ্ধির বৃত্তে থেকে মানুষের বিজ্ঞান, দর্শণ, সমাজ বুঝার চেষ্টা কইরেন না।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৪:১৩
285793
অপি বাইদান লিখেছেন : বদরের যুদ্ধের মতই আল্লাহর সাহায্য আসবেই। এসেছেও। প্যালেস্টাইনের ব্যাপারেঃ ইসলামিক ব্যাখ্যায় - বিচারহীন শিশু গুলো জান্নাতে যাবে।

ঠিক তাই। আপনাদের উদ্ধত, অহংকারি, সংকৃণমনা এবং প্রতিহিংশাপরায়ন....... নিধিরাম আল্লা পরকালের মূলা ছাড়া আর কিছুই করে দেখাতে পারেন্না।

হামাস কি বদরের যুদ্ধের মতই সফলতা পায়নি ফিনিস্তিনে? ইসরায়েলি কি হটে যেতে হয়নি? এবং বিশ্বের থুথু পেতে হয়নি?

ভাল আল্লার খপ্পরেই পরেছেন। আক্রে ধরে রাখুন। ভবিস্যতে হামাসের মত আরো সফলতা পাবেন। আইসিস, আলকায়দাদা, বোকোহারাম, হামাস, তালেবান, আনসারউল্লার.... মান মর্যাদা আল্লা তাল গাছে তুলে দিবেন। সবাই ফুলের মালা দিয়ে বরণ করবে।

ধন্যবাদ।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:২৬
285819
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : রক্তলাল,
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৯
344465
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৫:২৪
অপি বাইদান লিখেছেন : প্রশ্নপর্ব ৮ :

আপনি বলেছেন- "কোরআনের আদেশ মত সবাই লড়াই করছে না বলেই তো মার খাচ্ছে! অস্ত্র-খাদ্য-বিদ্যুৎ বিহীন গাজার মানুষেরা লড়াই করে দেখিয়ে দিয়েছে যে, যদি অতিরিক্ত সামান্য অস্ত্র তাদের কাছে থাকত, তাহলে ইসরায়েল বলে কিছু থাকত না। ইসরায়েলের পাশের দুটি দেশ লড়াই করলেও তো ইসরায়েলের সমস্যা হবে। সুতরাং আল্লাহর বানী সঠিক ও নির্ভুল।"

ফিলিস্তিনের জানবাজ যোদ্ধারা কি মদ খেয়ে যুদ্ধ করে যে ওরা হটাৎ আপনার মতে কোরাণের আদেশের বিরুদ্ধে চলে গেল! কোথায় সেই বদর যুদ্ধের সারিবদ্ধ ফেরেস্তারা? অহংকারী আল্লার অক্ষমতার সুভংকরের ফাঁকি এখানেই। অথচ তিনি উদ্ধত কন্ঠে ঘোষণা দিলেন- সূরা ৮:৬৫- "হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন।"

জ্ঞানহীন!!?? ইহুদীদের একটি F-16 বিমান যে ১ লক্ষ মুমিনের চেয়ে শক্তিশালী সে বিষয়টি আপনার অতি জ্ঞানি আল্লার জানা ছিল না।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:১৪
285817
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : জিহাদ আর যুদ্ধ এক কথা নয় আমি স্ববিস্তারে আলোচনা করেছি। যুদ্ধে যাবার জন্য কোরআনের আদেশ হল, 'তোমরা হালকা কিংবা ভারীভারাক্রান্ত হয়ে যুদ্ধর প্রস্তুতি গ্রহন করো.....' কিন্তু গাজার নিরস্ত্র মানুষের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে প্রায় খালি হাতেই লড়তে হয়েছে....... অবেশেষে ইস্রায়েল নিজেই যুদ্ধ বিরতি ঘোষনা দিয়ে চলে যায়.......

মন্তব্য লিখার মাঝে মনে একটা কথা উদয় হওয়াতে সেই কথাটিই লিখে দিলাম,

(আচ্ছা, আপনি তো সেই ব্লগার কোনভাবে মুসলমান মারা গেলে খুশিতে উল্লসিত হয়ে পোষ্ট দেন আবার কেউ মুসলমানদের হাতে ক্ষতিগ্রস্থ হলে ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হয়ে পোষ্ট দেন। যার বোধশক্তি এই মানের তার সাথে, বিতর্কে লিপ্ত না হতে অন্তত পৃথিবীর তাবৎ জ্ঞানীরা সেই পরামর্শ দিয়েছেন)
২০
344466
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৫:৪০
রক্তলাল লিখেছেন : [q]জ্ঞানহীন!!?? ইহুদীদের একটি F-16 বিমান যে ১ লক্ষ মুমিনের চেয়ে শক্তিশালী সে বিষয়টি আপনার অতি জ্ঞানি আল্লার জানা ছিল না।[/q
এখানেই ত মুসলমানদের বিজয় Happy কোনো এটম বোমা অস্ত্র ছাড়া Happy মুসলমানরা এরকম অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখালে কি পরিমাণ বদনাম করা হত তা জানি -
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৭:৩৫
285799
অপি বাইদান লিখেছেন : আল্লার সূরা ইয়াসিন অথবা বদর যুদ্ধের সারিবদ্ধ ফেরেস্তা দিয়ে কাম হবে না বু্ঝতে পেরে মুমিন কুলের শিরমনি ফাঁকিস্তান শেষ/মেশ ইটালি/জার্মানী'র প্রযুক্তি চুরি চোট্টামি করে এটম বোমার দখল নিয়েছে বটে। কিন্তু ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের ভয়ে ঐ এটম বোমা খাপের ভিতর লুকিয়ে রেখেছে।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:২৯
285820
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : পাকিস্তান একটি মুসলিম রাষ্ট্র, সেটি ইসলামী রাষ্ট্র নয় তাই ইসলামের স্পিরিট তাদের কাছে নাই। ইসলামী জিহাদী স্পিরিট বিহীন একজন মুসলিম আর একজন সাধারন হিন্দুর মাঝে কোন তফাত নাই। সুতরাং তাদের হাতে হাজার এটম বোমা থাকলেও কারো কোন উপকারে আসবে না হয়ত অপকারে আসতে পারে।
২১
344467
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৫:৪১
রক্তলাল লিখেছেন : বিজয়টা মুসলমানদের ধর্মীয় চর্চা আর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে এটম বোমা আর এফ-১৬ ছাড়া Happy
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৭:৩৮
285800
অপি বাইদান লিখেছেন : উই পোকার বংশ বিস্তারও কিন্তু মুমিনদের মতই দিন দিন বাড়ছে। তাতে কি?
২২
344469
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৭:৫২
অপি বাইদান লিখেছেন : প্রশ্ন পর্ব ১০ :

আপনি বলেছেন- "ইংরেজিতে স্কুল, বাংলায় বিদ্যালয় আর আরবিতে মাদ্রাসা সবই একই জিনিষ। ধর্ষণ গোরস্থান, শ্মশান, মাদ্রাসা, মন্দিরে হতেই পারে সেটা মাদ্রাসার দোষ নয়। ফৌজদারি অপরাধের বিচার হয়না বলেই কিছু মানুষ জানোয়ারে পরিণত হয়েছে। অন্তত একজন মানুষকে ধর্ষণের অপরাধে যদি পাথর মেরে হত্যা করা হত, তাহলে পুরো দেশ ঠাণ্ডা হয়ে যেত। যাক, বোরকা দিয়ে দেহ ডাকলেই নিরাপদ হয়না, তার অন্তরকেও বোরকা দিয়ে ঢেকে ফেলতে হবে, তাহলে উপায় মিলবে।"

না, ভুল বল্লেন। স্কুল আর মাদ্রাসা এক নয়। স্কুলে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান, মুক্তচিন্তা, মানবাধিকার, গনতন্ত্র, বিবর্তন বাদ, গ্রহ নক্ষ্যত্রের ঘুর্ণন, পৃথিবী গোলাকার.... এসব বিষয়ে পড়ানো হয়। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষায় ৭ শতকী কোরাণ/হাদীসের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

পাথর মেরেই যদি ধর্ষন বন্ধ করা যেত তা হলে ইসলামী শরিয়া শাসিত সৌদি আরবে কাজের বুয়ারা এভাবে ধর্ষনের করুন শিকার হত না।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৩২
285821
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষার যে পদ্ধতি ও ধরন সেটাও ইসলামী পদ্ধতি নয়। আল্লাহ দুনিয়াতে এবং আখিরাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য ইমানদারদের তাগিদ করেছেন। তারা করছেনা, আজ করছেনা বলে কাল যে করবেনা তাতো হতে পারে না। অতীতে বিশালভাবে পেরেছিল সেই উদাহরণ তো আমাদের আছে। এটা ব্যক্তি ও সামাজিক ব্যর্থতা ইসলামের ব্যর্থতা নয়। ইসলাম তো সচেতনতার জন্য অহনির্শী বলেই যাচ্ছে।
২৩
344471
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:১৫
অপি বাইদান লিখেছেন : প্রশ্নপর্ব ১২ :

আপনি বলেছেন- "মানুষ তো কাবা ঘরের পূজা করেনা! তারা যখন কাবা ঘরকে সামনে নিয়ে সেজদা করে, তখনই তারা বলে যে, ‘ফালইয়া বুদু রাব্বা হাজাল বাইত’ আমরা এই ঘরের মালিকের পূজা করছি।"

তাহলে ঐ কালো ডিব্যাটির মালিক আল্লা স্বয়ং!! এজন্যই মানুষ হুর/মুড় করে কালো ডিব্যার চার পাশে চক্কর খায়। তো ভায়া, আপনার আল্লা কি ধরনের বাড়ীওয়ালা যিনি নিজ ঘরে অতিথী'দের মাথায় পতিত সামান্য একটি ক্রেইনকে ঠেকেতে পারেন্না!!!!!
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:৪৩
285805
রক্তলাল লিখেছেন : read below
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৪৩
285822
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ সবকিছুরই মালীক। প্রতিটি মসিজদও আল্লাহর ঘর, তাই বলে কি মসজিদ কেউ ভাঙ্গতে পারেনা? ক্রেনের ঘটনা একটি তু্চ্ছ ঘটনা যদিও বহু মানুষ মারা গেছে। আল্লাহর সেই কাবা ঘরের উপরে শিলা বৃষ্টি হয়, সেটাও কি আল্লাহর ব্যর্থতা। আল্লাহ ঘর বানিয়ে মানুষকে তার প্রতিনিধি বানিয়েছেন, প্রতিনিধির ভাঙ্গা ও গড়ার দুটোর অনুমতি দিয়েছেন। গড়তে গিয়ে কাবার বারান্দার কিঞ্চিত ভেঙ্গেছে, সেটা মামুলী। নিজের সন্তানকে পিটালে নিজে পিটানো মামুলি কিন্তু অন্য জন পিটালে খবর আছে।

আপনি তো সেই ব্লগার কোনভাবে মুসলমান মারা গেলে খুশিতে উল্লসিত হয়ে পোষ্ট দেন আবার কেউ মুসলমানদের হাতে ক্ষতিগ্রস্থ হলে ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হয়ে পোষ্ট দেন। যার বোধশক্তি এই মানের তার সাথে, বিতর্কে লিপ্ত না হতে অন্তত পৃথিবীর তাবৎ জ্ঞানীরা সেই পরামর্শ দিয়েছেন
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:২৫
285906
অপি বাইদান লিখেছেন : কোরানে মক্কা নগরীকে নিরাপদ বলা হয়েছে বারবার, এমনকি কোরাণের আল্লা একবার শপথও নিয়েছে নিরাপদ মক্কা নগরীর নামে:

১. তারা কি দেখে না যে, আমি (মক্কা নগরীকে) একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল করেছি। অথচ এর চতুপার্শ্বে যারা আছে, তাদের উপর আক্রমণ করা হয়। (সুরা ২৯: ৬৭)

২. যে ব্যক্তি সেখানে (মক্কার হারাম) প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। (সুরা ৩: ৯৭)

৩. শপথ এই নিরাপদ (মক্কা) নগরীর। (সুরা ৯৫:১-৩)

৪. আর স্মরণ করো তখনকার কথা যখন আমি এই গৃহকে (কাবা) লোকদের জন্য কেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল গণ্য করেছিলাম। (সুরা ২:১২৫)



আসলে আল্লা নামক এক কল্পিত বস্তু কে মাতাব্বর সাজাতে যেয়ে আপনারা এখন তার ফাঁকা বুলির গ্যাড়াকলে পদে/পদে লাঞ্চিত হছ্ছেন। লজ্জাস্কর............।
২৪
344474
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:৪২
রক্তলাল লিখেছেন : The fact of the matter is we are prevailing.

And, that's without the stockpile of hidden nuclear warheads, all across the globe, that could make life on earth extinct 50 times over.

If the Muslims had all those weapons of mass destruction, then the naysayers would blame it on Muslims.

Now that the enemies of humanity possess those, the Islam-haters pose stockpiling of nuclear and other weapons as something to brag about.
How hopeless and helpless you are. Just pity for you! Happy
২৫
344476
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:৫৮
অপি বাইদান লিখেছেন : প্রশ্নপর্ব ১৩ :

আপনি বলেছেন- "কোরআন হাদিসের অনুসরণ অনুযায়ী প্রকৃত মুসলমানেরা কোন জাতিভেদ প্রথায় জড়াবে না, বর্ণবাদ ইসলামে হারাম। তবে হাদীসে উল্লেখ আছে, মুসলমানদের মাঝে বিভক্তি আসবে এবং কেয়ামত পর্যন্ত তা আসতেই থাকবে, কেউ এটাকে থামাতে পারবে না। সেখানে সর্বদা একটা দল সঠিক পথে থাকবে। সুতরাং মুসলমানদের মাঝে বিভক্তি থাকবে সেটা আল্লাহর সিদ্ধান্ত। এই বিভক্তির কথা মুসলমানের জানে এবং বুঝে। এই বিভক্তি আছে বলেই অন্যরা সুবিধা নিতে পারছে।"

তাহলে বুঝা গেল- কোরাণ এবং হাদীস পরস্পর বিরোধী।

আরো বুঝা গেল- ইসলাম শান্তি, একতা, শৃন্খলার ধর্ম নয়। এই ধর্মে বিভেদ, বৈষম্য, মারামারি, কাটাকাটি, বোমাবাজী থাকবেই। আমরা আসলে এটাই দেখতে পাই। বিষয়টি শিকার করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
285823
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সেখানে সর্বদা একটা দল সঠিক পথে থাকবে। সুতরাং মুসলমানদের মাঝে বিভক্তি থাকবে সেটা আল্লাহর সিদ্ধান্ত।

ব্যাপারটি আমার স্বীকার করার মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। সেটা আল্লাহর সিদ্ধান্ত। আমি মানি বা না মানি তাই হবে।
তবে,
সেখানে সর্বদা একটা দল সঠিক পথে থাকবে, তাদের সাথে লড়াই চলতে থাকবে অবিরত এবং অবিরাম। আর তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনিও জড়িত আছেন, আমিও জেনে বুঝে নিজেকে জড়িয়েছি......
২৬
344480
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৯:৩৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। অকে দীর্গ লেখা। অনেকদূর পড়েছিলাম। ভালো উত্তর। মনে হচ্ছিলো আমিও কিছু কথা আপনার সাথে যুক্ত করতে পারি। কিন্তু সময় সাপেক্ষ বিষয়।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
285824
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অবশ্যই যোগ করবেন, আপনার আগ্রহের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৬ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:০১
285948
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আন্নেও হাজির হোন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে।
২৭
344506
০৫ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:৩৮
আহমদ মুসা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। অনেক দীর্ঘ এবং লম্বা লেখা। বেশ মনোযোগ সহকারেই পড়লাম। প্রত্যেকটি প্রশ্নের যুৎসই উত্তর দিয়েছেন। প্রশ্নগুলোর ধরণ এবং স্টাইল দেখে মনে হচ্ছে যেসব জাহেল মূর্খ নিজেরাই নিজেদের অন্তরে জেহালতের মোহর মেরে রেখেছেন, অন্তরে বক্রতার জঞ্জাল তৈরীর বীজ রোপন করেছেন তাদেরই কোন অর্ধ শিক্ষিত কথিত বিজ্ঞানমনষ্ক জ্ঞানপাপীর সমগোত্রীয় সিনিয়র আবাল অরুণসূরিদের তৈরী করা রেডিমেইড পাওয়া প্রশ্নগুলো ছুড়ে দিয়েছেন। যদিও বা প্রশ্নকারী আবালরা হয়তো খোজ খবর রাখেনি যে এসব প্রশ্নের উত্তর অনেকেই নিজস্ব জ্ঞান-বুদ্ধি ও সুবিবেচনাপ্রসূত একাডেমিকভাবে হাজার বার দেয়া হয়েছে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমে। অথচ এসব জাহেল অন্ধ, জ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিত সেমি নাস্তিকগুলো একাডেমিক জবাবগুলোর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ না করে আজাইরা খিস্তি খেউর করতে গিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়কেই বার বার নবীন প্রজন্ম তথা সাধারণ মুসলমান যারা ইসলামিক জ্ঞানে পরিপক্ক নয় তাদের নিকট হাজির করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে নিয়মিত এবং বাই রোটেশন।
ইসলাম সম্পর্কে মোটামোটি ধারণা রাখেন এমন মুসলমানদের কাছে উল্লেখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা থাকলেও হয়তো সাধারণ মুসলমান যারা না জেনেও ঈমান ও আমলের দিক দিয়ে মজবুত বিশ্বাসের অধিকারী তাদের বিশ্বাসে আঘাত করাই মূলত এসব আবালগুলোর তার্গেট। প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনি যে ভাষায় এবং যে স্টাইলে দিয়েছেন সেটাই বর্তমান নবীনদের জন্য জানা দরকার। অনেকেই এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ইসলামিক পান্ডিত্যের যে শিষ্টাচার অনুসরণ করা দরকার সেটা করতে ধর্য্য ধরেন না। অথবা সেদিকে খেয়ালই রাখেন না। অথচ একজন প্রকৃত মুসলমান মাত্রই দা'য়ী ইলাল্লাহ। আর একজন দা'য়ী ইলাল্লাহর উপস্থাপিত ভাষাতেও সত্যিকারের একজন মুসলমানের পরিপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরী। আপনার দেয়া উত্তরগুলোতে সে দিকটিই পাঠকদের জন্য ইংগিত করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দরভাবে উত্তর দেয়ার পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া শিখিয়ে দেয়ার জন্য। ভাল থাকুন এবং তারাতারি সুস্থ্য হয়ে উঠুন- সেই কামনায়।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:৫১
285839
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনি লিখেছেন:
ইসলাম সম্পর্কে মোটামোটি ধারণা রাখেন এমন মুসলমানদের কাছে উল্লেখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা থাকলেও হয়তো সাধারণ মুসলমান যারা না জেনেও ঈমান ও আমলের দিক দিয়ে মজবুত বিশ্বাসের অধিকারী তাদের বিশ্বাসে আঘাত করাই মূলত এসব আবালগুলোর তার্গেট। প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনি যে ভাষায় এবং যে স্টাইলে দিয়েছেন সেটাই বর্তমান নবীনদের জন্য জানা দরকার।


মুলত আপনি একেবারে সঠিক ও মূল সমস্যাটিই ধরতে পেরেছেন। সাধারণ মানুষের মাঝে হতাশা ও সন্দেহ আনাই তাদের প্রকৃত লক্ষ্য। উত্তর জানা মানুষগুলো তাদের কেন্দ্রবিন্দু নয়।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আল্লাহ আপনাকে হায়াতে তাইয়্যেবাদ দান করুন, আমীন। আপনি ভাল ও সুস্থ থাকুন।
২৮
344557
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪১
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : “প্রশ্ন: ২.
মুসলমানরা বলে যে, নাস্তিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্টান, ইহুদী এরা শয়তানের সৃষ্টি, এরা মুলত কাফের মুশরিক ইত্যাদি, ইত্যাদি!...”
এই প্রশ্ন এবং অভিযোগটি ‍ভুল। কারণ মুসলমানরা বিশ্বাস করে সবই আল্লাহর সৃষ্টি। শয়তান কোন কিছুর সৃষ্টিকর্তা নয়।
০৬ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:২০
285931
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : প্রশ্নটি আমার উত্তর থেকে বাদ গিয়েছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সংযুক্তি জন্য।
২৯
344559
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:০৮
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : প্রশ্নগুলোর সঠিক জবাব দানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ্ আপনার জ্ঞানে বরকত দান করুন।
০৬ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:২০
285932
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকেও রহম করুন, আমিন।
৩০
344561
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:১৮
সাদাচোখে লিখেছেন : অল্পকথায় এমন সব প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা নিশ্চয়ই ভাল একটি প্রয়াস।

সম্প্রতি একজন স্কলারের একটি মন্তব্য - আমার মনে ধরেছে। আমার ভাষায় শেয়ার করছি - আপনার ভাবনার জন্য।

তিনি বলেছিলেন, স্যেকুলার ইডুকেশান এ শিক্ষিত হয়ে - মিডিয়া হতে উচিত, অনুচিত, ভাল, খারাপ ইত্যাকার নীতি ও নৈতিকতাবোধ এর মানদন্ড গ্রহন করে, সে মানদন্ড -

ডিভাইন ভারডিক্ট প্রসূত - সম্পূর্ন ভিন্ন ধরনের শিক্ষা, আচার আচরন ও চিন্তাভাবনা কে মূল্যায়ন - কখনো সম্ভব নয়।

মূলতঃ দুটো পরিপূর্ন ভিন্ন শিক্ষা, ভিন্ন যুক্তি, ভিন্ন পরিমাপক, ভিন্ন ডেসটিনেশান। এক্ষেত্রে প্রশ্নকারীদের ইসলামের কোন বিধি বিধানের সাথে আসলে কোন সংঘর্ষ নেই। বরং তার মানুষিক সংঘর্ষ হচ্ছে তার ইতোমধ্যে আহরিত শিক্ষা ও ইচ্ছার পথে - ডিভাইন শিক্ষা তথা আল্লাহ একমাত্র স্রষ্টা ও নিয়ন্ত্রক (যা জানা মাত্র সে ফেলতে পারছেনা) ও অন্তরের ইচ্ছার বাঁধা (ধর্মীয় নীতি নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সমূহ)।

সুতরাং এসব মানুষকে যে বিষয়টিতে সামহাউ আনা উচিত, যে বিষয়ে বিতর্কটি করা উচিত - সে স্রষ্টার অস্তিত্ব মানে কি মানে না? রাসুল সঃ কে সে স্রষ্টার প্রেরিত মনে করে কি করে না?

ব্যাক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে - ভদ্রলোক ফেয়ারলী রাইট।
০৬ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:২৩
285933
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার বিশ্লেষন পূর্ন মন্তব্যটি আমার খুব ভাল লেগেছে কেননা এটা যুক্তিপূর্ন ও সঠিক। সেই ভদ্রলোকে নেটে বা ফেসবুকে কথা গুলো পড়েছেন এবং এসব কথা তার মনে ধরেছে, তাই সে চিন্তা করল এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়াতো মুসলমানের পক্ষে সম্ভব না। ফলে যা হবার তাই হয়েছে, তবে এসব প্রশ্নের কারণে মুসলমানদের মাঝে সচেতনতা বেড়েছে। অনেক ধন্যবাদ।
৩১
344702
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:২৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ জাযাকাল্লাহ খাইর ভাই।
০৭ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
286066
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৩২
344785
০৭ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬
মুসা বিন মোস্তফা লিখেছেন : ধন্যবাদ , সুন্দর লিখেছেন ।

যেকোন বই ঘরে বসে কেনার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান amaderboi.com
৩৩
344795
০৭ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:১২
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর ও যুক্তিপর্ণ লিখার জন্য। হিন্দুর জন্য লিখলেও আমার ভাল লেগেছে উপকারে ও লাগবে আশা করি।
৩৪
362164
১১ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০২:৫৬
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন :
সেদিন তার সাথে রাত কাটিয়ে পরে তাকে বিয়ে করেন।

এটার জবা কিন্তু দেন নি। আসলেই কি রাত কাটিয়ে পরে বিয়ে করেছেন নাকি বিয়ে করে পরে সহবাস করেছেন? অপরাধ হলে আল্লাহ্‌ আমাকে মাপ করুন! নাকি প্রশ্নকারী মিথ্যা বলছে?

আপনার মত এমন একজন ব্লগার ব্লগে লেখা নিয়ে আসবেনা, এটা কি ঠিক বলেন? মাঝে মাঝে দেখি কারো কারো লেখায় কমেন্ট করেন। ঐদিন দেখলাম নিজের ব্লগে একটা লেখা দিয়েছেন অথচ বিডি ব্লগে দেন নি কেন? পাঠক কম বলে? আগের মত জমেনা বলে? কেন ভাই, আমরা কি পাঠক নই?

তাহলে কথা এটাই থাকল, আপনি ব্লগে আসছেন।
১২ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০২:৫২
303191
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমি নতুন কোন লিখা দিলে সেটা এই ব্লগেই দিয়ে থাকি। আপনি যে সব লিখা আপনি ওখানে দেখেছেন তার সব গুলোই এই ব্লগে আগে থেকেই প্রকাশিত হয়েছে। আপনি যদি এই ব্লগে আমার লিষ্ট দেখেন তাহলে সব এখানে পাবেন।

প্রশ্ন হল সেখানে কেন?
মুলত এই ব্লগটি বারবার সরকার দ্বারা নিষিদ্ধ হচ্ছে আমি বহু লিখা এবং সয়যুক্ত ছবি হারিয়ে ফেলেছি। তাই চিন্তা করলাম কোথাও যদি সংরক্ষণ করে রাখি তাহলে উপকার হবে, সে কারণে ওখানে রাখা হয়েছে।

বহু দিন যাবত আমি অনিয়মিত হয়ে পড়েছি নানাবিধ কারণে, তাই ব্লগে লিখতে পারিনা তবে এই ব্লগটি দৈনিক না হলেও একবার তো ঢুকি হয়ত লগইন হয়না।

যাক আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File