মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য

লিখেছেন লিখেছেন ইসলাম কিংডম ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০২:৩০:৫০ রাত

আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়নের সবচেয়ে উপযোগী পন্থা। এতে মানুষের মনে বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। স্রষ্টার মহত্ব, জ্ঞান-গরিমা ও হিকমত জানা যায়। আল্লাহ তায়া’লা আসমান জমিন যথার্থভাবে সৃষ্টি করেছেন, এগুলোকে অনর্থক সৃষ্টি করেননি। তিনি কোন কিছু নিরর্থক কিছু সৃষ্টি করেন না। আল্লাহ তায়া’লা বলেন: “আল্লাহ যথার্থরূপে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। এতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে”। (আনকাবুত: ৪৪)

মানুষ যদি এ মহাবিশ্ব ও এর ভিতরে যা কিছু আছে তা নিয়ে একটু চিন্তা করে এবং গভীরভাবে গবেষণা করে তবে সে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবে যে, এ বিশ্ব অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে সুবিন্যস্ত করে সৃষ্টি করা হয়েছে। একজন প্রজ্ঞাময়, সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞানী ইলাহ তা সৃষ্টি করেছেন, তিনি একে উত্তমরূপে সুপরিমিতভাবে বানিয়েছেন। আল্লাহ তায়া’লা বলেন: “কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? আমি পৃথিবীতে ভারী বোঝা রেখে দিয়েছি যাতে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে এবং তাতে প্রশস্ত পথ রেখেছি, যাতে তারা পথ প্রাপ্ত হয়। আমি আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি; অথচ তারা আমার আকাশস্থ নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে। তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে”। (আম্বিয়া: ৩০-৩৩)

প্রথম আমেরিকান মহাকাশচারী “জন গ্লেন” বলেন: “এ ধরনের সৃষ্টি দেখেও তুমি আল্লাহর উপর ঈমান আনবে না এটা অসম্ভব! এ সৃষ্টি তো আমার ঈমানকে আরো মজবুত করেছে। আমি এ চিত্রের আরো কিছু বিবরণ চাই।”

আল্লাহ তায়া’লা বলেন: “তিনিই আল্লাহ, যিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডল সৃজন করেছেন এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে অতঃপর তা দ্বারা তোমাদের জন্যে ফলের রিযিক উৎপন্ন করেছেন এবং নৌকাকে তোমাদের আজ্ঞাবহ করেছেন, যাতে তাঁর আদেশে সমুদ্রে চলা ফেরা করে এবং নদ-নদীকে তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। এবং তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন সূর্যকে এবং চন্দ্রকে সর্বদা এক নিয়মে এবং রাত্রি ও দিবাকে তোমাদের কাজে লাগিয়েছেন। যে সকল বস্তু তোমরা চেয়েছ, তার প্রত্যেকটি থেকেই তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন। যদি আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, তবে গুণে শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় মানুষ অত্যন্ত অন্যায়কারী, অকৃতজ্ঞ”। (ইবরাহিম: ৩২-৩৪)

মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য: মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য: bn.islamkingdom.com/s2/47448

বিষয়: বিবিধ

১৪২৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381973
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রাত ০২:৪৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam. Unique writing mashallah
381980
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০৩:৪৫
হতভাগা লিখেছেন : মহাকাশ গবেষণায় মুসলমানেরা পিছিয়ে ।

আর জন গ্লেনের মত মহাকাশচারীরা কি আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে?

নিল আর্মস্ট্রং এর কথা বহুল প্রচলিত হলেও উনি কি আদৈ মুসলমান হয়েছিলেন ?
382049
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রাত ১১:১২
ইসলাম কিংডম লিখেছেন : "মহাকাশ গবেষণায় মুসলমানেরা পিছিয়ে" ঠিক বলেছেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File