Roseবাংলা বানান নিয়ম (ব্লগারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ)

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মাসুম সরকার আযহারী ২৯ মার্চ, ২০১৫, ০৯:৪৩:৪৩ রাত



আমার মত হয়ত এমন অনেকেই আছেন যারা কয়েক বছর ধরে হয়ত বাংলা লিখেন না। তাই হঠাৎ করে লিখতে শুরু করলে দেখা যায় অনেক সহজ বানানও ভুল করে ফেলি। অনেকে আবার দেখা যায় সঠিক বানান না জানার কারণেও অনেক সময় ভুল করে ফেলি। এমনকি ভুল শব্দ লিখতেও অনেক সময় ভুল করে ফেলি । তাই আসুন সবাই মিলে বাংলা বানানের নিয়মগুলো একটু রিভিঊ দিয়ে নেই। আশা করি এর মাধ্যমে আমাদের নিজেদের লেখার মান এবং আমাদের সবার প্রিয় ব্লগের মান বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারব।

সহজ বাংলা বানান নিয়মঃ

----------------------

১। দূরত্ব বোঝায় এমন শব্দে 'দূর' লিখতে দীর্ঘ ঊ-কার হবে। যেমন—

দূর, দূরবর্তী, দূর-দূরান্ত, দূরীকরণ, অদূর, দূরত্ব, দূরবীক্ষণ ইত্যাদি।

২. দূরত্ব বোঝায় না এরূপ শব্দে 'দুর' হ্রস্ব উ-কার হবে। যেমন—

দুরবস্থা, দুরন্ত, দুরাকাঙ্ক্ষা, দুরারোগ্য, দুরূহ, দুর্গা, দুর্গতি, দুর্গ, দুর্দান্ত, দুর্নীতি, দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, দুর্নাম, দুর্ভোগ, দুর্দিন, দুর্বল, দুর্জয় ইত্যাদি।

৩. পদের শেষে '-জীবী' দীর্ঘ ঈ-কার হবে। যেমন—

চাকরিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, কৃষিজীবী, আইনজীবী ইত্যাদি।

৪. পদের শেষে 'বলি' (আবলি) হ্রস্ব ই-কার হবে। যেমন— কার্যাবলি, শর্তাবলি, ব্যাখ্যাবলি, নিয়মাবলি, তথ্যাবলি ইত্যাদি।

৫. ইংরেজি st যোগে শব্দগুলো লিখতে দন্ত 'স' হবে। যেমন—

পোস্ট, স্টার, স্টাফ, স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, স্ট্যাটাস, মাস্টার, ডাস্টার, পোস্টার, স্টুডিও, ফাস্ট, লাস্ট, বেস্ট ইত্যাদি।

৬. বাংলা বানানে ট-বর্গীয় বর্ণে মূর্ধন্য 'ষ' হবে। যেমন—

বৃষ্টি, কৃষ্টি, সৃষ্টি, দৃষ্টি, মিষ্টি, নষ্ট, কষ্ট, তুষ্ট, সন্তুষ্ট ইত্যাদি।

৭. 'পূর্ণ' (Full/Completeঅর্থে) শব্দটিতে দীর্ঘ ঊ-কার এবং মূর্ধন্য হবে। যেমন—পূর্ণরূপ, পূর্ণমান, সম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ ইত্যাদি।

'পুন'( Re- অর্থে) শব্দটিতে হ্রস্ব উ-কার হবে। যেমন— পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, পুনঃপুন, পুনর্জীবিত, পুনর্নিয়োগ, পুনর্নির্মাণ, পুনর্মিলন, পুনর্লাভ, পুনর্মুদ্রিত, পুনরুদ্ধার, পুনর্বিচার, পুনর্বিবেচনা, পুনর্গঠন, পুনর্বাসন ইত্যাদি।

৮. পদের শেষে'-গ্রস্থ' নয় '-গ্রস্ত' হবে। যেমন—

বাধাগ্রস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ইত্যাদি।

৯. অঞ্জলি দ্বারা গঠিত সকল শব্দে হ্রস্ব ই-কার হবে। যেমন— অঞ্জলি, গীতাঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি ইত্যাদি।

১০.প্রশ্নবোধক অর্থে 'কে' আলাদা ব্যবহার হয়। যেমন— রহিম কে? প্রশ্ন করা না বোঝালে এক সাথে হবে। যেমন— রহিমকে আসতে বলো।

১১. বিদেশি শব্দে ণ, ছ, ষ ব্যবহার হবে না। যেমন— হর্ন, কর্নার, সমিল (করাতকল), স্টার, আস্‌সালামু আলাইকুম, ইনসান, বাসস্ট্যান্ড ইত্যাদি।

১২. অ্যা, এ ব্যবহার: বিদেশি বাঁকা শব্দের উচ্চারণে 'অ্যা' ব্যবহার হয়। যেমন— অ্যান্ড (And), অ্যাড (Ad/Add), অ্যাকাউন্ট (Account), অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance), অ্যাসিস্ট্যান্ট (Assistant), অ্যাডভোকেট (Advocate), অ্যাকাডেমিক (Academic), অ্যাডভোকেসি (Advocacy) ইত্যাদি। অবিকৃত বা সরলভাবে উচ্চারণে 'এ' হয়। যেমন— এন্টার (Enter), এন্ড (End), এডিট (Edit) ইত্যাদি।

১৩. S-এর বাংলা প্রতিবর্ণ হবে 'স' এবং sh, -sion, -tion -এ 'শ' হবে। যেমন— সিট (Seat/Sit), শিট, (Sheet), রেজিস্ট্রেশন (Registration), মিশন (Mission) ইত্যাদি।

১৪. ش (শিন)-এর বাংলা প্রতিবর্ণ হবে 'শ' এবং ث (সা), س (সিন) ও ص (সোয়াদ)-এর বাংলা বর্ণ রূপ হবে 'স'। ث (সা), س (সিন) ও ص (সোয়াদ)-এর উচ্চারিত রূপ মূল শব্দের মতো হবে এবং বাংলা বানানের ক্ষেত্রে 'স' ব্যবহার হবে। যেমন— সালাম, শাহাদত, শামস্‌, ইনসান ইত্যাদি।

১৪. শ ষ স :

বাংলায় অধিকাংশ শব্দের উচ্চারণে 'শ' বিদ্যমান। এমনকি 'স' দিয়ে গঠিত শব্দেও 'শ' উচ্চারণ হয়। 'স'-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ বাংলায় খুবই কম। 'স'-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ হচ্ছে— সমীর, সাফ, সাফাই। যুক্ত বর্ণ, ঋ-কার ও র-ফলা যোগে যুক্তধ্বনিতে 'স'-এর উচ্চারণ পাওয়া যায়। যেমন— সৃষ্টি, স্মৃতি, স্পর্শ, স্রোত, শ্রী, আশ্রম ইত্যাদি।

১৫. সমাসবদ্ধ পদ ও বহুবচন রূপী শব্দগুলোর মাঝে ফাঁক রাখা যাবে না। যেমন— চিঠিপত্র, আবেদনপত্র, ছাড়পত্র, বিপদগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত, গ্রামগুলো, রচনামূলক, সেবাসমূহ, যত্নসহ, পরিমাপসহ, ত্রুটিজনিত, আশঙ্কাজনক, অনুগ্রহপূর্বক, উল্লেখপূর্বক, প্রতিষ্ঠানভুক্ত, এমপিওভুক্ত, এলাকাভিত্তিক, এমপিওভুক্তকরণ, প্রতিবর্ণীকরণ আমদানিকারক, রফতানিকারক, কষ্টদায়ক, আরামদায়ক, স্ত্রীবাচক, দেশবাসী, এলাকাবাসী, সুন্দরভাবে, চাকরিজীবী, শ্রমজীবী, সদস্যগণ, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী, সন্ধ্যাকালীন, শীতকালীন, জ্ঞানহীন, দিনব্যাপী, মাসব্যাপী ইত্যাদি।

এ ছাড়া যথাবিহিত, যথাসময়, যথাযথ, যথাক্রমে, পুনঃপুন, পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বহিঃপ্রকাশ শব্দগুলো একত্রে ব্যবহার হয়।

১৬. বিদেশি শব্দে ই-কার ব্যবহার হবে। যেমন— আইসক্রিম, স্টিমার, জানুয়ারি, ফ্রেরুয়ারি, ডিগ্রি, চিফ, শিট, শিপ, নমিনি, কিডনি, ফ্রি, ফি, ফিস, স্কিন, স্ক্রিন, স্কলারশিপ, পার্টনারশিপ, ফ্রেন্ডশিপ, স্টেশনারি, নোটারি, লটারি, সেক্রেটারি, টেরিটরি, ক্যাটাগরি, ট্রেজারি, ব্রিজ, প্রাইমারি, মার্কশিট, গ্রেডশিট ইত্যাদি।

১৭. উঁয়ো (ঙ) ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ। এক্ষেত্রে অনুস্বার (ং) ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— অঙ্ক, অঙ্কন, অঙ্কিত, অঙ্কুর, অঙ্গ, অঙ্গন, আকাঙ্ক্ষা, আঙ্গুল/আঙুল, আশঙ্কা, ইঙ্গিত, উলঙ্গ, কঙ্কর, কঙ্কাল, গঙ্গা, চোঙ্গা/চোঙা, টাঙ্গা, ঠোঙ্গা/ঠোঙা, দাঙ্গা, পঙ্‌ক্তি, পঙ্কজ, পতঙ্গ, প্রাঙ্গণ, প্রসঙ্গ, বঙ্গ, বাঙালি/বাঙ্গালি, ভঙ্গ, ভঙ্গুর, ভাঙ্গা/ভাঙা, মঙ্গল, রঙ্গিন/রঙিন, লঙ্কা, লঙ্গরখানা, লঙ্ঘন, লিঙ্গ, শঙ্কা, শঙ্ক, শঙ্খ, শশাঙ্ক, শৃঙ্খল, শৃঙ্গ, সঙ্গ, সঙ্গী, সঙ্ঘাত, সঙ্গে, হাঙ্গামা, হুঙ্কার।

১৮. অনুস্বার (ং) ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ। এক্ষেত্রে উঁয়ো (ঙ) ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— কিংবদন্তী, সংজ্ঞা, সংক্রামণ, সংক্রান্ত, সংক্ষিপ্ত, সংখ্যা, সংগঠন, সংগ্রাম, সংগ্রহ, সংগৃহীত।

[দ্রষ্টব্য: বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দ দুটি অনুস্বার (ং) দিয়ে লিখতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে তাই করা হয়েছে।]

১৯. ‘কোণ, কোন ও কোনো’-এর ব্যবহার:

কোণ : ইংরেজিতে Angle/Corner (∠) অর্থে।

কোন : উচ্চারণ হবে কোন্। বিশেষত প্রশ্নবোধক অর্থে ব্যবহার করা হয়। যেমন— তুমি কোন দিকে যাবে?

কোনো : ও-কার যোগে উচ্চারণ হবে। যেমন— যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও।

২০. বাংলা ভাষায় চন্দ্রবিন্দু একটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ণ। চন্দ্রবিন্দু যোগে শব্দগুলোতে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করতে হবে; না করলে ভুল হবে। অনেক ক্ষেত্রে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার না করলে শব্দে অর্থের পরিবর্তন ঘটে। এ ছাড়া চন্দ্রবিন্দু সম্মানসূচক বর্ণ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। যেমন— তাহাকে>তাঁহাকে, তাকে>তাঁকে ইত্যাদি।

২১. ও-কার: অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়া পদ এবং বিশেষণ ও অব্যয় পদ বা অন্য শব্দ যার শেষে ও-কার যুক্ত না করলে অর্থ অনুধাবনে ভ্রান্তি বা বিলম্ব সৃষ্টি হতে পারে এমন শব্দে ও-কার ব্যবহার হবে। যেমন— মতো, হতো, হলো, কেনো (ক্রয় করো), ভালো, কালো, আলো ইত্যাদি। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া ও-কার ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— ছিল, করল, যেন, কেন (কী জন্য), আছ, হইল, রইল, গেল, শত, যত, তত, কত, এত ইত্যাদি।

২২. বিশেষণবাচক আলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন— সোনালি, রুপালি, বর্ণালি, হেঁয়ালি, খেয়ালি, মিতালি ইত্যাদি।

২৩. জীব, -জীবী, জীবিত, জীবিকা ব্যবহার। যেমন— সজীব, রাজীব, নির্জীব, চাকরিজীবী, পেশাজীবী, জীবিত, জীবিকা।

২৪. অদ্ভুত, ভুতুড়ে বানানে উ-কার হবে। এ ছাড়া সকল ভূতে ঊ-কার হবে। যেমন— ভূত, ভস্মীভূত, বহির্ভূত, ভূতপূর্ব ইত্যাদি।

২৫. হীরা ও নীল অর্থে সকল বানানে ঈ-কার হবে। যেমন— হীরা, হীরক, নীল, সুনীল, নীলক, নীলিমা ইত্যাদি।

২৬. নঞর্থক পদগুলো (নাই, নেই, না, নি) আলাদা করে লিখতে হবে। যেমন— বলে নাই, বলে নি, আমার ভয় নাই, আমার ভয় নেই, হবে না, যাবে না।

২৭. অ-তৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দে ই-কার ব্যবহার হবে। যেমন— সরকারি, তরকারি, গাড়ি, বাড়ি, দাড়ি, শাড়ি, চুরি, চাকরি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, সিঙ্গি, ছুরি, টুপি, দিঘি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বেআইনি, কুমির, নানি, দাদি, বিবি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, বুড়ি, নিচু।

২৮. ত্ব, তা, নী, ণী, সভা, পরিষদ, জগৎ, বিদ্যা, তত্ত্ব শব্দের শেষে যোগ হলে ই-কার হবে। যেমন— দায়িত্ব (দায়ী), প্রতিদ্বন্দ্বিতা (প্রতিদ্বন্দ্বী), প্রার্থিতা (প্রার্থী), দুঃখিনী (দুঃখী), অধিকারিণী (অধিকারী), সহযোগিতা (সহযোগী), মন্ত্রিত্ব, মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিপরিষদ (মন্ত্রী), প্রাণিবিদ্যা, প্রাণিতত্ত্ব, প্রাণিজগৎ, প্রাণিসম্পদ (প্রাণী) ইত্যাদি।

২৯. ঈ, ঈয়, অনীয় প্রত্যয় যোগ ঈ-কার হবে। যেমন— জাতীয় (জাতি), দেশীয় (দেশি ), পানীয় (পানি), জলীয়, স্থানীয়, স্মরণীয়, বরণীয়, গোপনীয়, ভারতীয়, মাননীয়, বায়বীয়, প্রয়োজনীয়, পালনীয়, তুলনীয়, শোচনীয়, রাজকীয়, লক্ষণীয়, করণীয়।

৩০. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না৷ যেমন— অর্চনা, অর্জন, অর্থ, অর্ধ, কর্দম, কর্তন, কর্ম, কার্য, গর্জন, মূর্ছা, কার্তিক, বার্ধক্য, বার্তা, সূর্য৷

৩১. ভাষা ও জাতিতে ই-কার হবে। যেমন— বাঙালি/বাঙ্গালি, জাপানি, ইংরেজি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, আরবি, ফারসি ইত্যাদি।

৩২. ব্যক্তির '-কারী'-তে (আরী) ঈ-কার হবে। যেমন— সহকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী, পথচারী, কর্মচারী ইত্যাদি। ব্যক্তির '-কারী' নয়, এমন শব্দে ই-কার হবে। যেমন— সরকারি, দরকারি ইত্যাদি।

৩৩. প্রমিত বানানে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকলে –গণ যোগে ই-কার হয়। যেমন— সহকারী>সহকারিগণ, কর্মচারী>কর্মচারিগণ, কর্মী>কর্মিগণ, আবেদনকারী>আবেদনকারিগণ ইত্যাদি।

৩৪. 'বেশি' এবং '-বেশী' ব্যবহার: 'বহু', 'অনেক' অর্থে ব্যবহার হবে 'বেশি'। শব্দের শেষে যেমন— ছদ্মবেশী, প্রতিবেশী অর্থে '-বেশী' ব্যবহার হবে।

৩৫. 'ৎ'-এর সাথে স্বরচিহ্ন যোগ হলে 'ত' হবে। যেমন— জগৎ>জগতে জাগতিক, বিদ্যুৎ>বিদ্যুতে বৈদ্যুতিক, ভবিষ্যৎ>ভবিষ্যতে, আত্মসাৎ>আত্মসাতে, সাক্ষাৎ>সাক্ষাতে ইত্যাদি।

৩৬. ইক প্রত্যয় যুক্ত হলে যদি শব্দের প্রথমে অ-কার থাকে তা পরিবর্তন হয়ে আ-কার হবে। যেমন— অঙ্গ>আঙ্গিক, বর্ষ>বার্ষিক, পরস্পর>পারস্পরিক, সংস্কৃত>সাংস্কৃতিক, অর্থ>আর্থিক, পরলোক>পারলৌকিক, প্রকৃত>প্রাকৃতিক, প্রসঙ্গ>প্রাসঙ্গিক, সংসার>সাংসারিক, সপ্তাহ>সাপ্তাহিক, সময়>সাময়িক, সংবাদ>সাংবাদিক, প্রদেশ>প্রাদেশিক, সম্প্রদায়>সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি।

৩৭. সাধু থেকে চলিত রূপের শব্দসমূহ যথাক্রমে দেখানো হলো: আঙ্গিনা>আঙিনা, আঙ্গুল>আঙুল, ভাঙ্গা>ভাঙা, রাঙ্গা>রাঙা, রঙ্গিন>রঙিন, বাঙ্গালি>বাঙালি, লাঙ্গল>লাঙল, হউক>হোক, যাউক>যাক, থাউক>থাক, লিখ>লেখ, গুলি>গুলো, শুন>শোন, শুকনা>শুকনো, ভিজা>ভেজা, ভিতর>ভেতর, দিয়া>দিয়ে, গিয়া>গিয়ে, হইল>হলো, হইত>হতো, খাইয়া>খেয়ে, থাকিয়া>থেকে, উল্টা>উল্টো, বুঝা>বোঝা, পূজা>পুজো, বুড়া>বুড়ো, সুতা>সুতো, তুলা>তুলো, নাই>নেই, নহে>নয়, নিয়া>নিয়ে, ইচ্ছা>ইচ্ছে ইত্যাদি।

৩৮. হয়তো, নয়তো বাদে সকল তো আলাদা হবে। যেমন— আমি তো যাই নি, সে তো আসে নি ইত্যাদি।

[দ্রষ্টব্য: মূল শব্দের শেষে আলাদা তো ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।]

৩৯. ঙ, ঞ, ণ, ন, ং বর্ণের পূর্বে ঁ হবে না। যেমন— খান (খাঁ), চান, চন্দ (চাঁদ), পঞ্চ, পঞ্চাশ (পাঁচ) ইত্যাদি।

(চলবে----)

বিষয়: সাহিত্য

৪৭৫৫ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

311697
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:৫১
আফরা লিখেছেন : অনেক জাজাকাল্লাহ ভাইয়া এটাই আমার প্রয়োজন তাই প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম ।
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:১৮
252769
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। মন্তব্য করে আপনার ভাল লাগা রেখে যাওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। জাযাকিল্লাহু খাইরান।
311699
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:৫৪
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : উপকারী পোস্ট কিন্তু এত বড় লেখা দেখে পাঠক তো পড়ার আগ্রহই হারিয়ে ফেলবে।
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:২১
252771
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আপনার মন্তব্য বিবেচনা করে লিখাটাকে মাঝখান থেকে কেটে দুই ভাগ করে ফেললাম। এইটুকু হজম হওয়ার পর বাকীটুকু আসবে। জাযাকিল্লাহু খাইরান।
311701
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:১২
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় আযহারী ভাইয়া। অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট বেশ কষ্ট করে লিখেছেন বলে মনে হল।
পড়ে ভীষণ লাগলো। লিখার মান এবং সৌন্দর্য রক্ষায় আপনার লিখাটি পেয়ে আমার মত অনেকেই উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।

আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া রইলো।
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৪৮
252775
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। পনের বছর পর বাংলা লিখার যাত্রা শুরু করি গত পাঁচ মাস পূর্বে এই ব্লগে লিখার মাধ্যমে। ব্লগের কিছু লিখা পড়ে বানান নিয়ে নিজের মনের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। কারণ আমি যতটুকু জানি আর ব্লগে যা পড়ি তাতে পার্থক্যের পরিমাণটা একটু বেশীই মনে হল। তাই আমার একান্ত ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বিভিন্ন সাইট থেকে বানান বিষয়ে অনেকগুলো লিখা সংগ্রহ করি। ব্লগে বিভিন্ন লেখকের লিখা পড়ে দেখা যায় একই বানান বারবার ভুল করেন। ফলে আমার মনে কনফিশান বাড়তে থাকে। অনেক সময় মন চায় ভুলগুলো বলে দেই। আবার ভাবি হয়তো মাইন্ড করতে পারেন। তাই আর বলা হয় না। চিন্তা করলাম বিষয়টা সবার সাথে শেয়ার করলে হয়তো ভুলের ছড়াছড়ি কিছুটা হলেও কমবে। যদিও আমার লিখাতেও প্রচুর ভুল আছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে হয়তো এর পরিমাণটা কমানো সম্ভব। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বারাকাল্লাহু ফীক।
311715
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৩৭
প্রগতিশীল লিখেছেন : ভাল কাজ...Click this link তবে আপনার ধৈর্য আছে
311716
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৩৭
প্রগতিশীল লিখেছেন : মানে আমি চেষ্টা করেছিলাম...
৩০ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:২৫
252781
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আপনার অন্তরিক প্রচেষ্টা ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
311720
৩০ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:১৪
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : একের মাঝেই সব!অনেক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck
৩০ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:২৬
252782
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
311721
৩০ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:১৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পরিশ্রমি পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ।
তবে এখন এই বিষয়ে অনেক সহজ করা হয়েছে। হ্রস ও দির্ঘ উকার এর ক্ষেত্রে হ্রস উকার দেওয়া সঠিক হবে।
বাংলা বানান এর ক্ষেত্রে অনেকগুলি অপ্রয়োজনিয় নিয়ম আছে।
৩০ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:২৬
252783
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
311730
৩০ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:১৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর, আশাকরি কাজে লাগানো যাবে। অনেক ধন্যবাদ।
৩০ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:৪২
252834
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
311744
৩০ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:৫৫
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : বানান ভুল এটা আসলে লেখকদের জন্য একটি মারাত্মক রোগ!!! বানান ভুলের কারনে একটি লেখার গুণগত মান নষ্ট হতে বাধ্য!!! সুতারাং আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রয়োজনীয় লেখাটি উপহার দেয়ার জন্য। প্রিয়তে রাখলাম।
৩০ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
252835
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
১০
311759
৩০ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৭:৩৩
শেখের পোলা লিখেছেন : ভীষণ দরকারি পোষ্ট ৷ ধন্যবাদ৷
৩০ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
252836
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
১১
311825
৩০ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:০২
সালাম আজাদী লিখেছেন : আহারে খোন্দকার আব্দুল মোমিন স্যারের কথা মনে পড়ে গেলো
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৪২
252970
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। স্যার এখন কোথায় আছেন, কেমন আছেন জানি না। এখনও স্যারের কথাগুলো কানে ভাসে। বিশেষ করে ক্লাসে স্যারের বকাঝকা এবং বাচনভঙ্গি আমার ভাল্লাগতো। স্যারের "প্রেক্ষণ" সাময়িকীর নিয়মিত গ্রাহক ছিলাম। সেই সুবাদে এক ধরণের সখ্যতা তৈরী হয়েছিল। স্মৃতিচারণমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান। আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আল্লাহ তা'য়ালা আপনার দ্বীনি খেদমতগুলো কবুল করুন এবং আরো বেশী বেশী দ্বীনের খেদমত করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
১২
311934
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ০৩:৩৮
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!

প্রবাস জীবন ১০ বছর হতে চলেছে এর মাঝে সাতটি বছর নিজের নামটিও বাংলাতে লিখতে হয় নি! পড়াশোনার পাঠ চুকিয়েছি দেশে সেই কবে! এখানে এসে বই পড়া আর টুকিটাকি নোট করা হলেও সাহির‍্যের চর্চা পুরোই থেমে ছিলো! যার কারনে এখন অনেক সময় বানান ভুল হয়ে যায়, সঠিক শব্দ খুঁজে পাই না আরো অনেক সমস্যায় পড়তে হয়!

চমৎকার লাগলো পোস্টটি! আশাকরি নিয়মিত ভাবে লিখে যাবেন আমরা সবাই উপকৃত হব ইনশা আল্লাহ!

জাযাকাল্লাহ খাইর! বোনটিকে স্মরন করিয়ে আমন্ত্রন করার জন্য আবারো শুকরিয়া! Good Luck Good Luck Good Luck
৩১ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৭:০৯
252981
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। মন্তব্য করে আপনার ভাল লাগা রেখে যাওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার লিখার যোগ্যতাকে আরো বাড়িয়ে দি্ন, আপনার কলমকে আরও শাণিত করুন। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, দ্বীনের কাজে ব্যস্ত থাকুন। বারাকাল্লাহু ফীক ।
১৩
311987
৩১ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:০০
ছালসাবিল লিখেছেন : আমি এস এস সি তে বাংলা গ্রামারে টেনে টুনে, কোন মতে, গা এলিয়ে, ডানে কাত হয়ে, হালাকা ভাবে, পাশ করেছি। তবুও চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ Loser
Rose Rose ফুলের সৈরভ নিন ভাইয়া Day Dreaming
৩১ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৯
253086
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুন। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
১৪
312027
৩১ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:১৪
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : পাঁচ লাইনে বানান ভুল দশটি, এমন লিখা অসংখ্য পেয়েছি, একটু চেষ্টা করলে অসম্ভব নয় তা ঠিক করা। কিন্তু চেষ্টাটাই করি না। যাই হোক, আপনার এই পোস্ট টি বানান শুদ্ধ লিখাতে খুব খুব ফলদায়ক হবে, যদি তা থেকে পাঠক উপকার পেতে চায়।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এমন উপকারী একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য।
৩১ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৮
253085
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
১৫
312730
০৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৫৭
ব্লগার শঙ্খচিল লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ , ব্লগে মনে হয় আমার বানান ই বেশি ভুল হয় । অনেক বড় পোস্ট । ছোট ছোট করে দিলে ভাল হত । কেটে কেটে । বুঝেনইতো অনেক বিজি আমরা...!
১৬
313068
০৫ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫১
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

জাযাকাল্লাহ.. তবে-

৬০-৭০এর দশকে আমরা যা শিখেছি ও জেনেছি তার কিছু কিছু উল্টে-পাল্টে গেছে!
এবং সেগুলো নতুন করে শেখা ও মনে রাখা কঠিনই বটে!!

তারচে' বরং শফিক রেহমানের মত ফুটনোট লেখাই সহজ-
"বানানরীতি লেখকের নিজস্ব"

এ ছাড়া উপায় কী?

এখনো আমার কোন বানান নিয়ে সন্দেহ হলে আঙ্গুলকে ছেড়ে দেই- ওরা যেটা লিখে ফেলে সেটাই সঠিক! কারণ মস্তিষ্ক ভুলে গেলেও আঙ্গুলে ভোলেনি!
০৪ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৯
259347
আবু নাজিব লিখেছেন : আসলেই বানান নিয়ে মহা সমস্যা। বাংলাদেশে আবার প্রতিনিয়ত: কি কারনে জানি বিবর্তন হচ্ছে হর হামেশা। এই যেমন আমার ছেলের ষষ্ঠ শ্রেণীর বইয়ে দেখলাম নতুন বানান 'শ্রেণি' এ রকম আরো অনেক।
১৭
313873
০৯ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:২৫
মুহাম্মদ নূরুল্লাহ তারীফ লিখেছেন : প্রয়োজনীয় পোস্ট। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।
১৮
318101
০৪ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৪১
আবু নাজিব লিখেছেন : লেখাটা বিলম্বে হলেও নজরে এলো এবং এটি প্রয়োজনীয় বটে। ধন্যবাদ অনেক। পরবর্তি পর্ব অনেক খুঁজেও পেলাম না।
১৯
336953
১৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:৩৩
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : প্রিয়তে রাখলাম.. ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File